ফ্রাঙ্কফুর্টে আন্তর্জাতিক মেলায় বাংলাদেশ

হাবিবুল্লাহ আল বাহার
হাবিবুল্লাহ আল বাহার হাবিবুল্লাহ আল বাহার
প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে পাঁচ দিনব্যাপী গৃহস্থলীর পণ্য সামগ্রীর আন্তর্জাতিক মেলা, যা জার্মান ভাষায় ‘আম্বিয়ান্তে’ নামে পরিচিত। এ বছর ৯২ দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার কোম্পানি এ মেলায় অংশগ্রহণ করে তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে।

বাংলাদেশের উৎপাদিত প্লাস্টিক, পাট, চামড়া এবং সিরামিক শিল্পের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ৩৩টি কোম্পানি এ বছর মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের পাটশিল্পকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও স্টল নেয়া হয়েছে মেলায়। মেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পাঁচ দিনব্যাপী এই মেলায় প্রায় ১৭০টি দেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন এবং তাদের চুক্তি সম্পন্ন করছেন।

Germany1.jpg

গৃহস্থলীর পণ্য সামগ্রী বিশ্বে বাজারজাত করার ক্ষেত্রে ফ্রাঙ্কফুর্টের এই মেলা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মেলা বলে জানান মেলার প্রধান নির্বাহী ডেটলফ ব্রাউন। বাংলাদেশ থেকে আগত ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা জানান, বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের যোগসূত্র স্থাপন করতে এ মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের পণ্যের মান এবং দামের সঙ্গে বাংলাদেশি পণ্যের তুলনা করার জন্যও বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন তারা।

Germany1.jpg

বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করা মুন্নু সিরামিক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদ মাইমুনুল ইসলাম জানান, আন্তর্জাতিক এই মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের উৎপাদিত পণ্যের পরিচিতি ফুটে উঠেছে এবং বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে আসা বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

আরএফএল প্লাস্টিকস লিমিটেডের কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান মজুমদার জানান, যে উদ্দেশ্য নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন তা সফল হয়েছে। মেলা থেকে যথেষ্ট সাড়া পেয়েছেন এবং বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার ছিল মেলার শেষ দিন। এদিকে জার্মানি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও মেলায় অংশগ্রহণ করা বাংলাদেশি বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেছেন।

এমআরএম/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]