ভিয়েনার রাজপ্রাসাদে একদিন

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০১ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বসবাসের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ভালো শহর হিসেবে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার নাম উঠে এসেছে। দেশটিতে জনসংখ্যা প্রায় ৮০ লাখ। খাবার, পরিবহন থেকে শুরু করে থিয়েটার, জাদুঘর ও অপেরার সব জায়গায়ই দেশটিতে ব্যয় পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় কম।

অন্যতম পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিত ইউরোপের ভিয়েনা। এই শহরে বহু প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন লক্ষ্য করা যায়। দেশটিতে প্রতি বছর প্রচুর সংখ্যক পর্যটক আসে। পর্যটনের নগরী বললেও ভুল হবে না।

ভিয়েনার প্রাচীন নিদর্শনের একটি হলো বেল্ভেদেরে প্যালেস। রাজপ্রাসাদটি শহরের দক্ষিণ কোনে ৩য় জেলায় অবস্থিত। এই রাজপ্রাসাদটি প্রিন্স ইউজানের গ্রীষ্মকালীন অবকাশ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হত। বেল্ভেদেরে রাজপ্রাসাদটি দুটি ভাগে বিভক্ত। উপরিভাগ ও নিম্ন ভাগ।

রাজপ্রাসাদে ঢোকার মুহূর্তে বিশাল একটি লেক দেখা যাবে। এই রাজপ্রাসাদজুড়ে বিভিন্ন স্থাপত্য কলার ও নির্মাণশৈলীসহ কারুকার্য বিদ্যমান। রাজপ্রাসাদটিতে একটি যাদুঘরও রয়েছে যেখানে প্রিন্স ইউজেনে সহ রাজা ১ম ফ্রানস জোসেপ এবং রাজপরিবারের সদস্যদের ছবিসহ প্রাচীন হবসবার্গ রাজবংশের কিছু ছবি সম্বলিত ইতিহাস দেখা যায়।

Viena2

রাজপ্রাসাদের উপরিভাগ এবং নিম্নভাগের মাঝখানের বিশাল বড় একটি বাগান রয়েছে এবং সঙ্গে রয়েছে দুটি ঝর্না যা আসলেই পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় একটি স্থান। বাগানের দুই পাশ দিয়ে লম্বা একটি রাস্তা রয়েছে যেখান দিয়ে পর্যটকরা যাওয়া আসা করে থাকেন।

ভিয়েনায় বড় ধরনের অপরাধ নেই। শহরের বাসিন্দার সংখ্যা ৮০ লাখ। তা সত্ত্বেও বিশ্বের অন্যান্য শহরের তুলনায় এ শহর আশ্চর্য রকমের শান্ত। বসবাস উপযোগী শহরের তালিকা প্রস্তুতির পাশাপাশি, নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিবেচনায়ও একটি তালিকা তৈরি করেছে। এ তালিকায় সবার ওপরে অবস্থান বেলজিয়ামের পাশে ইউরোপের একটি ছোট্ট দেশ লুক্সেমবার্গের।

মূলত গ্রীষ্মের সময় এখানে প্রচুর পর্যটক দেখা যায়, বিভিন্ন দেশ থেকে এই রাজপ্রাসাদটি এবং বিশেষ করে বাগানের দৃশ্য উপভোগ করার জন্য এসে থাকেন পর্যটকরা। এই রাজপ্রাসাদটি শহরের একবারে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। যে কেউ এখানে সহজেই এসে ঘুরে যেতে পারবেন। ভিয়েনার প্রধান পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে এটিই অন্যতম।

হাসান তামিম, ভিয়েনা থেকে

এমআরএম/এমকেএইচ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]