প্রবাসী বাংলাদেশিরা খুবই ভালো : ওমান ইমিগ্রেশন অফিসার
ওমান এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন অফিসার মেজর নাসের আল-সালটি বলেছেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিরা খুবই ভালো। তারা অনেক পরিশ্রমী, দক্ষতাও বেশি। যে কোনো কাজই মনোযোগসহকারে সম্পন্ন করে। আমি বাংলাদেশিদের ব্যক্তিগতভাবে অনেক ভালোবাসি।’
মেজর নাসের আল-সালটি বর্তমানে মাস্কাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরব উপদ্বীপে যতগুলো দেশ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি দেশ ওমান। দেশটিতে জনগোষ্ঠী খুবই শান্তিপ্রিয়। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের বেশি মূল্যায়ন করা হয়। সরকারি অফিস আদালত থেকে শুরু করে সব সেক্টরেই বাংলাদেশিদের আলাদা সুনাম রয়েছে।
যদিও গুটিকয়েক অসাধুদের জন্য কিছুটা ইমেজ সংকটে ভুগছে ওমান প্রবাসীরা। এরপরও ওমানিদের সঙ্গে আলাপ করলে বেরিয়ে আসে দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বিভিন্ন প্রশংসনীয় অবদান। নাসের আল-সালটির সঙ্গে একান্ত আলোচনায় বেরিয়ে আসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনার কথা।
তার কোম্পানিতে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শ্রমিক কাজ করলেও তিনি বাংলাদেশিদের অত্যন্ত ভালোবাসেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশিদের সঙ্গে তার রয়েছে ব্যাপক সক্ষতা। বাংলাদেশ দূতাবাস ওমানের সিনিয়র অফিসার আনোয়ার হোসেন, আবুল হাসান মৃধা, রবিউল ইসলামসহ অনেকের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ওমানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়াতে তার উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। তিনি ইতোপূর্বে এটিএন নাইট প্রোগ্রামে এসে বাংলাদেশ সম্পর্কে বেশ পজিটিভ ধারণা পান। তিনি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসাও করেন। প্রবাসীদের চাকরির সুযোগ করে দিতে মূলত তিনি মোবাইল ছুক নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।
মাস্কাটসহ ওমানের বিভিন্ন অঞ্চলে তার কোম্পানির শাখা রয়েছে। স্বল্পমূল্যে ভালো মোবাইল ফোন বিক্রি করে তার প্রতিষ্ঠান। মোবাইল ছুক কোম্পানিতে বেশিরভাগ স্টাফই বাংলাদেশি। বাংলাদেশি স্টাফদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা বলেন, মালিক হিসেবে মেজর নাসির অত্যন্ত ভালো মানুষ। সময়মতো বেতন পরিশোধ করেন এবং স্টাফদের সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করেন।
বর্তমানে মাস্কাট এয়ারপোর্টে নিরাপত্তা তল্লাশির নামে বাংলাদেশিদের হয়রানি করা হয় কেনো এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আসার সময় অনেকে বিভিন্ন ওষুধ ও ইয়াবা নেশাজাতীয় দ্রব্য নিয়ে আসেন। এসব নেশাজাতীয় ওমানে যেন ঢুকতে না পারে এ কারণেই বেশি তল্লাশি করা হয়। গুটিকয়েক অপরাধীদের জন্য সব বাংলাদেশিদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তিনি বিশেষভাবে অনুরোধ করেন বাংলাদেশ থেকে আসার সময় কোনো প্রকার অবৈধ জিনিস না আনতে।
উল্লেখ্য, যদি কারো একান্তই ওষুধ আনার প্রয়োজন হয়, তাহলে সরকারি কোনো ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করে সীমিত পরিমাণ ওষুধ আনতে পারবে।
এমআরএম/এমএস