ইতালিতে নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তনে হতাশায় বাংলাদেশিরা

জমির হোসেন
জমির হোসেন জমির হোসেন , ইতালি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:২১ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮

ইতালিতে নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন করেছে দেশটির সরকার। নাগরিকত্ব পেতে পূর্বের নিয়ম থেকে আরও দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সময় বাড়ানোর ফলে একজন বাংলাদেশিকে ইতালিয়ান নাগরিকত্ব পেতে ১৪ বছর অপেক্ষা করতে হবে। এর আগে সময় লেগেছে ১২ বছর।

বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সালভিনির অভিবাসী ও নিরাপত্তা ডিক্রী ৪ অক্টোবর পাস হওয়ার পর নাগরিকত্ব পেতে সময় বৃদ্ধিসহ কাগজপত্রে অনেক সংযোজন আনা হয়। যেসব বাংলাদেশিরা ইতোমধ্যে ইতালিয়ান নাগরিকত্ব পেয়েছেন এবং যারা আবেদন করবেন উভয়ের জন্য বড় সমস্যা হওয়ার আশংকায় ভুগছেন তারা।

এ ব্যাপারে অভিবাসী আইন বিষয়ক পরামর্শকারী অফিস টিএমএমের কর্ণধার বোরহান উদ্দীন বলেন, নতুন আইনে নাগরিকত্ব পেতে সময়সহ বেশ কিছু নিয়ম যোগ করা হয়েছে। তাই নাগরিকত্বের জন্য যারা আবেদন করবে তাদের অবশ্যই ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষ হতে হবে। নাগরিক হতে তার দেশের ভাষায় পারদর্শী কিনা যাচাইয়ের জন্য নতুন নিয়ম করা হয়েছে।

Italy2

এজন্য বি ওয়ান সার্টিফিকেট আবেদনে সংযোজন করা হয়। যা এর আগে প্রয়োজন ছিল না। আইন সংযোজনে নাগরিকত্ব পেতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সমস্যা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিয়ম পরিবর্তনের কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মনে করেন, সময় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যৌবনের গতি হ্রাস পাওয়া শুরু করবে। সময়সীমা বৃদ্ধি হয়ে দুই বছরের পরিবর্তে চার বছর এটা যৌবনের সঙ্গে নিজের এক প্রকার নীরব যুদ্ধ।

এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি ইতালিয়ান নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারী এনাম হোসনে এ প্রতিবেদককে বলেন, একজন বাংলাদেশি রেসিডেন্টের দশ বছর হলে নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারে। এরপর জমা দেয়ার দুই বছরের মধ্যে ইতালিয়ান পাসপোর্ট হাতে পেত। কিন্তু নতুন নিয়মে আরও দুই বছর বৃদ্ধি করায় পাসপোর্ট হাতে পেতে ১৪ বছর লাগবে।

যা ভাবতে শরীর শিউরে উঠে। তিনি বলেন, জমা দেয়ার পরেও স্বস্তি নেই। আছে না পাওয়ার ভয়। কারণ যেকোন ভুলের কারণে আটকে যেতে পারে নাগরিকত্ব। শুধু তাই নয় আবেদনকারীর ৪ বছরের নিয়মিত বাৎসরিক আয় থাকতে হবে। রেসিডেন্ট একটানা দশ বছরের হতে হবে। কোন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে নাগরিকত্ব বাদ হয়ে যাবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার যেভাবে নিয়ম পরিবর্তন করা শুরু করেছে। এভাবে চলতে থাকলে ইতালিতে অভিবাসীদের থাকা কঠিন হয়ে যাবে।

এমআরএম/এমকেএইচ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]