রিয়াদ ‘বাংলা স্কুলে’ বিজয় দিবস উদযাপন

আব্দুল হালিম নিহন
আব্দুল হালিম নিহন আব্দুল হালিম নিহন , সৌদি আরব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:১০ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ বাংলা শাখাতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ৪৮তম মহান বিজয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়।

স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সিনিয়র শিক্ষক খাদেমুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) শফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগীত শিল্পী ও সাংবাদিক আমিরুল মোমেনিন মানিক।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আফজাল হোসেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সিগনেটরি আব্দুল হাকিম, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন রিয়াদ প্রাদেশিক কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক মোসতাক আহমেদ মণ্ডল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিরা। কোরআন তেলোয়াত করেন আহসানুল রাফিদ আদিব। বিজয় দিবস উপলক্ষে দেয়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে স্কুলের শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ যোহরা ও সাদিয়া তাবাসসুম।

Saudi2

সভাপতির বক্তব্যে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম স্মরণ করেন সে সকল শহীদদের যাদের আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। বিজয় হয়েছে লাল সবুজের একটি বাংলাদেশের।

সভাপতি বলেন, দূতাবাসের পরে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা উড়ে সেটি এই বাংলাদেশ স্কুল অ্যান্ড কলেজে। আর সেজন্য এ স্কুল বাঁচাতে সবার সহযোগিতা দরকার। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, স্কুলের খুব করুণ মুহূর্তে রিয়াদ দূতাবাসের সহযোগিতায় স্কুলে দেয়া অনুদান দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বাঁচিয়ে রাখতে অনুরোধ জানানো হয়।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পী এবং সাংবাদিক আমিরুল মোমেনিন মানিকের দেশের গান মাতিয়ে রেখেছিল আগত দর্শক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের। অনুষ্ঠান শেষে বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।

এমআরএম/এমকেএইচ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]