মালয়েশিয়ার কেপিজে হেলথ কেয়ারের তথ্য কেন্দ্র এখন ঢাকায়

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:১৯ পিএম, ০২ ডিসেম্বর ২০১৮

সবধরনের চিকিৎসার জন্য ভিসা, টিকিট, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসসহ নানা ধরনের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ার কেপিজে হেলথ কেয়ার ঢাকার বনানীতে তথ্য কেন্দ্র চালু করেছে। শনিবার রাতে বনানীর ১৭ নম্বর রোডের কামাল আতাতুর্ক টাওয়ারের ২২ নম্বর ভবনের অষ্টম ফ্লোরে উদ্বোধন করা হয়।

এ উপলক্ষে বনানীর সারিনা হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়া হেলথ কেয়ার সার্ভিস এর সিইও ও বাংলাদেশে কেপিজের প্রতিনিধি ডা. শংকর চন্দ্র পোদ্দার বলেন, প্রাথমিকভাবে কোন ধরনের ফি ছাড়াই তথ্য কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করা হবে। তবে মালয়েশিয়ার ডাক্তারদের কাছ থেকে সেকেন্ড অপিনিয়ন হিসেবে কেউ যদি পরামর্শ নিতে চান তাহলে তাকে নমিনাল একটা ফি দিতে হবে।

তিনি বলেন, ধরুন আপনার রোগীর একটা জটিল ডিজিজ ধরা পড়লো। রোগটা যদি আপনি কেপিজে থেকে কনফার্ম হতে চান, তাহলে ওই ডাক্তারকে মিনিমান একটা ফি দিতে হবে। তবে টিকিট বুকিং, ভিসা ফি, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ফিসহ সবধরনের সার্ভিস তথ্য কেন্দ্র থেকে ফ্রি পাওয়া যাবে।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মেডিকেল ভিসা দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটা ইমারজেন্সি, আরেকটা নরমাল। ইমারজেন্সি ভিসার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে আমরা ৬ ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকার হাইকমিশন থেকে ভিসা পাওয়ার ব্যবস্থা করবো। আর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে এক ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা করা হবে। কারণ মালয়েশিয়া সরকার কেপিজে হেলথ কেয়ার প্রোগ্রামকে টপ প্রায়োরিটি দিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককের নাগরিকরাও এখন মালয়েশিয়ায় গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। কারণ তাদের চাইতে মালয়েশিয়ায় কম খরচে তারা উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, মালয়েশিয়ার কেপিজে হেলথ কেয়ারের প্রতিনিধি দ্বাতিন এস ফৌজিয়াহ জামালউদ্দিন, জালিফার ইয়াসমিন বিন্তি ইব্রাহিম উপস্থিত ছিলেন।

কেপিজে হেলথ কেয়ার পৃথিবীজুড়ে শতাধিক হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। তারমধ্যে ২৫টি হাসপাতাল মালয়েশিয়ায়, ২০০ হাসপাতাল ইন্দোনেশিয়ায়, একটি থাইল্যান্ড ও একটি বাংলাদেশে অবস্থিত।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]