হতভাগা সেই কবির দেশে ফিরছেন কাল

জমির হোসেন
জমির হোসেন জমির হোসেন , ইতালি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:২৮ পিএম, ০১ ডিসেম্বর ২০১৮

মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত সেই ইতালি প্রবাসী কবির আহমেদ বাংলাদেশে ফিরছেন কাল। ২ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন বলে নিশ্চিত করেছেন সার্বিক সহযোগিতাকারী মারুফ হোসেন। বলেন, মানবিক কারণে কবির আহমেদের জন্য ইতালি প্রবাসীরা অর্থনৈতিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন।

তিনি আরও বলেন, সবার সাহায্য সহযোগিতায় বিমানের টিকিটসহ যাবতীয় খরচ যোগাড় করতে সক্ষম হয়েছি। আক্রান্ত কবিরে জন্য যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন করা হয়েছিল। তাকে সাহায্য করার জন্য ইতালি প্রবাসীরা বেশ সাড়া দেন। খুব অল্প সময়ে তাকে দেশে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ‘আমরা ইতালি প্রবাসী পেইজের কাছে।’

পাশাপাশি মিডিয়া হিসেবে দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক যুগান্তর এবং জাগো নিউজকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, কবিরের অসহায়ত্বের সংবাদটি তারা প্রচার করায় সবাই সহযোগিতার জন্য এগিয়ে এসেছেন।

জানা গেছে, ভাগ্য ফেরানোর আশায় ইতালি এসে থমকে যায় কবির আহমেদ। মৃত্যুর এ ভয়ানক ছোবল থেকে আদৌ মুক্তি মিলবে কিনা রেমিট্যান্স যোদ্ধার। ভাগ্যের চাকা থেমে যায় ইতালি প্রবাসীর। মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তিনি। এক বছর আগে লিবিয়া থেকে ইতালি পাড়ি জমান। ইতালি আসার পরপরই ক্যান্সার ধরা পড়ে। যে সময় অর্থ উপার্জন করবে সে সময় মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে বিছানার সঙ্গী হয়ে ছিলেন তিনি। পৃথিবীর আলো যেন ফুরিয়ে আসছে তার জীবনে। ফলে অর্থ আর উপার্জন করা হলো না।

আরও পড়ুন> ভাগ্যের চাকা থেমে গেল ইতালি প্রবাসী কবিরের

সেজন্য ইতালি প্রবাসীসহ দেশের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি জানান, পারিবারিক অবস্থা তেমন একটা ভালো না। ইতালি থেকে দেশে যেতে এবং দেশে বসে চলার জন্য তেমন কেউ নেই আর্থিক যোগান দেয়ার মতো। তাই সবার কাছে মানবিক সাহায্যের আবেদন করেছেন কবির।

এই মুহূর্তে তিনি খুব অসহায় জীবন যাপন করছেন। তার এই অন্তিম সময়ে একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন। কবির বলেন, গত তিনটি বছর লিবিয়াতে কাটিয়েছি। তেমন একটা অর্থ আয় করতে পারিনি। ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইতালি পাড়ি জমাই। কিন্তু ভাগ্য আমার সহায়ক হলো না।

তিনি আরও বলেন, ইতালিতে আসার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ি। তাই দেশটিতে এসেও টাকা রোজকার করতে পারিনি। এখন দেশে যাব কীভাবে? দেশে গিয়েই-বা কি করে চলবো। যার কারণে সবার কাছে সাহায্যের হাত বাড়ালাম। দেশে স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর পাছতুপা, সেনবাগ থানার চাতার পাইয়া ইউনিয়নে। বাবার নাম সিদ্দিকুর রহমান।

তিনি বাকিটা সময় পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চান। ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাকে দেশে পাঠান। আমার শরীরের অবস্থা ভালো না। তিন সন্তান সবাই নাবালক। দু’জন মেয়ে একজন ছেলে।’

কবির আহাম্মেদকে দেশ ও বিদেশে যারা সাহায্য করতে চান এই অ্যাকাউন্টে Jannatul Fardaus. SB 34105647. Janata bank Ltd . Chatar Paiya branch Sen bag Noakhali Bangladesh. অথবা মো. দুলাল, সভাপতি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন আনকোনা মার্কে 3298787585, হাসান মারুফ 3318897126 এই নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা যাচ্ছে।

এমআরএম/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]