‘ওরা আমাদের ক্রীতদাস বানিয়েছিল’
‘মালয়েশিয়ায় আমাদের বিক্রি করা হয়েছিল। পরে পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে ক্রীতদাসের মতো ব্যবহার করতো। একবেলা খাবারও জুটতো না। অসুস্থ হয়ে পড়েছি বার বার কিন্তু চিকিৎসা করেনি। দু’মাস ধরে বন্দিদশায় ছিলাম। বাড়ি ফেরার চেষ্টা করলেও ছাড়া হতো না।’
এভাবেই বলছিলেন সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় যাওয়া দুই যুবক। তাদের অভিযোগ, ‘আদম দালালরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিতো। শুনতে হয়েছে মৃত্যু হলেই দেহ ফিরবে বাড়িতে। সবসময় আতঙ্কিত করে রাখতো। মাঝে মাঝে মারধরও করতো। আমাদের কিছুই করার ছিল না।’
‘বহুচেষ্টা করেছি দেশে যোগাযোগ করার। এক প্রবাসী ভাইয়ের মাধ্যমে আমার দেশের এজেন্টের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। তারা জানায় পাসপোর্ট পেলে তাকে দেশে ফেরানো হবে। অন্যদিকে মালয়েশিয়ার এজেন্ট তাকে জানিয়েছে, টিকিট পেলে তাকে দেশে পাঠানো হবে। দেড়মাস ধরে গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। পরে স্বজনদের কাছে দুরাবস্থার কথা তুলে ধরি।’
দালালরা তাদের কৌশলে বিক্রি করে দেয়। ফলে তারা নিজেরা মুক্ত হতে পারেনি। মালয়েশিয়ার দালাল চক্র তাদের একটি ঘরে আটকেও রাখতো। কেড়ে নেয়া হয় পাসপোর্টও। বাড়ি ফেরার দাবি জানালেও কোনও কাজ হয়নি।
উত্তর চব্বিশ পরগনার গোপালনগরের এক এজেন্ট ট্যুরিস্ট ভিসায় শ্রমিকদের পাঠান মালয়েশিয়ায়। ন্যাশনাল অ্যান্টি ট্রাফিকিং কমিটি আটকে পড়ে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং মালয়েশিয়া দূতাবাসে চিঠি দিয়েছে ট্রাফিকিং কমিটি।
সম্প্রতি মোটা অংকের লোভে ইরানে গিয়ে আটকে পড়েন ভারতের ১২ জন শ্রমিক। মাস তিনেক পর অনেক কষ্ট করে তারা ঘরে ফেরেন।
এমআরএম/পিআর