মালয়েশিয়ায় বাড়ি কেনায় ইংল্যান্ডের পরেই বাংলাদেশ
মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমের আওতায় সম্পত্তি কেনা নাগরিকদের মধ্যে ইংল্যান্ডের পরেই রয়েছেন বাংলাদেশিরা। মাই সেকেন্ড হোম প্রোগ্রাম (এমএম ২ এইচ) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০০৭ সালে এই সম্পত্তি হস্তান্তরের পর থেকে এখন পর্যন্ত চার হাজার ৪৯৯টি ইউনিট সেকেন্ড হোমের অধীনে বিক্রি করা হয়েছে। আর এই সম্পত্তি কেনায় ইংল্যান্ডের নাগরিকদের পরেই বাংলাদেশিদের অবস্থান।
চলতি মাসে দেশটির স্থানীয় সরকার মন্ত্রী রাজা কামারুল বাহরিন শাহ সাংবাদিকদের বলেন, এমএমটুএইচ’র অধীনে সবচেয়ে বেশি সম্পত্তি কিনেছেন ইংল্যান্ডের নাগরিকরা। মোট বিক্রয়কৃত সম্পত্তির ৩৭ শতাংশ, অর্থাৎ ১ হাজার ৬৬৪ ইউনিট কিনেছেন।
এরপর বাংলাদেশের ২৫০ ইউনিট, ইরানের ২১৭ ইউনিট, জাপানের ২০৮ ইউনিট, পাকিস্তানের ১৯২ ইউনিট, সিঙ্গাপুরের ১৭৫ ইউনিট, অস্ট্রেলিয়ার ১৪৭ ইউনিট, দক্ষিণ কোরিয়ার ১২৭ ইউনিট, আমেরিকার ১১৫ ইউনিট এবং অন্যান্য দেশের মোট ১ হাজার ৪৭ ইউনিট।
২৫০ ইউনিটের অধীনে ঠিক কতগুলো বাড়ি রয়েছে জানা যায়নি। তবে ২০১৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে দেশটিতে সেকেন্ড হোম কেনা বাংলাদেশিরা ইংল্যান্ডের পরই রয়েছে।
এমএম ২ এইচ হলো- এমন একটি কর্মসূচি, যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে অন্য দেশের একজন নাগরিক মালয়েশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি বসবাস ও অন্যান্য সুবিধা পান। বিভিন্ন দেশ থেকে এ কর্মসূচিতে গত ২০১৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩৫ হাজার ৮২১ জন অংশ নিয়েছেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় নিবাস গড়তে বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে অর্থ নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। ফলে সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে যারা অংশ নিয়েছেন তারা টাকা পাচার করেছেন।
এই সুবিধা পেতে হলে একজন ব্যক্তিকে ৭ হাজার, স্বামী-স্ত্রীর জন্য সাড়ে ৭ হাজার এবং একটি পরিবারের জন্য ৮ হাজার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা) মালয়েশীয় রিঙ্গিত ফি দিতে হয়। পরিবার বলতে স্বামী ও স্ত্রী ছাড়া তাদের দু’জনের সন্তানকে নিয়ে একটি পরিবার বিবেচনা করা হয়। পরিবারের সদস্য এর চেয়ে বেশি হলে প্রতিটি সন্তানের জন্য বাড়তি আড়াই শ’ মালয়েশীয় রিঙ্গিত ফি দিতে হয়।
এমআরএম/এমএস