প্রবাসীদের বসবাস নিষিদ্ধ হচ্ছে সিডনিতে

মো. আবুল কালাম আজাদ
মো. আবুল কালাম আজাদ মো. আবুল কালাম আজাদ , অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:৩৮ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০১৮

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ও জনবহুল শহরগুলোয় নতুন প্রবাসীদের বসবাস নিষিদ্ধ হচ্ছে। প্রধান শহরগুলোয় জনসংখ্যার চাপ কমাতে এ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশটির ফেডারেল সরকার। নতুন অভিবাসীদের অস্ট্রেলিয়ার আঞ্চলিক এলাকায় বসবাসে বাধ্য করবে বর্তমান সরকার।

দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নির্বাচিত হওয়ার পরপরই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সিদ্ধান্ত নিয়ে জোরালোভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দেশটির জনসংখ্যামন্ত্রী অ্যালান টডজ। দেশটির জনবহুল শহরগুলোয় জনসংখ্যার চাপ কমানোর উপায় নিয়ে মাসখানেক ধরে তদন্ত করছেন তিনি।

গত অর্থবছরে স্কিলড মাইগ্রেশন ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করা প্রায় ৮৭ শতাংশই সিডনি ও মেলবোর্নে স্থায়ী বসবাস শুরু করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০০৬ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় আসা অভিবাসীদের প্রায় ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ সিডনিতে এবং ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ মেলবোর্নে বসবাস শুরু করে।

একই সময়ে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের আঞ্চলিক এলাকায় ৩ দশমিক ২ শতাংশ এবং ভিক্টোরিয়া রাজ্যের আঞ্চলিক এলাকায় ১ দশমিক ৯ শতাংশ বসবাস শুরু করে।

অ্যালানের তদন্তের প্রতিবেদন আরও বলছে, গত প্রায় এক দশকে অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার বৃদ্ধির হারের ৬০ শতাংশই অভিবাসী। আর এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ দক্ষ কর্মীরাই সিডনি ও মেলবোর্নে বসবাস করছেন। আর তাই দেশটির এই প্রধান দুই শহরের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এই পরিকল্পনা করছে সরকার।

নতুন নীতিমালায় আঞ্চলিক এলাকায় অন্তত পাঁচ বছর বসবাস করার আবশ্যিক শর্তজুড়ে দেবে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। নতুন নীতিমালা অনুসরণ না করলে অভিবাসীদের ভিসা রদ করে দেয়া হবে বলে জানান অ্যালান টডজ। একই কারণে স্থায়ী বসবাসকারীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে না।

অ্যালান বলেন, প্রধান শহরে কর্ম ও পারিবারিক যোগসূত্র রয়েছে এমন অভিবাসীদের ওপর আঞ্চলিক শহরে বাস করার আবশ্যিক শর্ত প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ, নতুন অভিবাসীদের মধ্যে প্রায় ৫৫ শতাংশ নতুন আবশ্যিক শর্ত থেকে ছাড় পাবেন। অন্যদের সর্বনিম্ন পাঁচ বছরের জন্য আঞ্চলিক শহরে বাস করতে হবে। এতে দেশের প্রধান শহরে জনসংখ্যার চাপ কমার পাশাপাশি আঞ্চলিক শহরেও দক্ষ কর্মীর চাহিদা পূরণ হবে বলে আশাবাদী অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন বিভাগ।

এমআরএম/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]