প্রবাসীদের পরিবারকে পাহারা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের, বললেন মন্ত্রী
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, প্রবাসীদের পরিবারকে পাহারা দেয়ার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের। প্রবাসীরা হচ্ছেন দেশের গোল্ডেন বয়। কারণ, আপনাদের পাঠানো রেমিটেন্সে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে।
সোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্যপদ নিবন্ধনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলামের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণে প্রবাসী ব্যাংক চালু করা হয়েছে। যারা বিদেশ গমন করতে চান এ ব্যাংক থেকে তাদের লোনের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, যাতে স্বল্প খরচে বিদেশ গমন করতে পারেন।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের ছেলেমেয়ে যাতে স্বল্প খরচে লেখাপড়া করতে পারে সে ব্যবস্থাও করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। প্রবাসীদের দেশে স্বল্প খরচে বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রতিটি জেলায় প্লটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রবাসীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিমানবন্দরে ইউনিফরম পরিহিত টিম থাকবে। কোনো সমস্যা হলে আপনাদের অভিযোগের কথা তাদের বলবেন।
কোনো অভিযোগ থাকলে সরাসরি তার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসীদের কল্যাণে আমার মন্ত্রণালয়ের দরজা সবসময় খোলা।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কোনো ধরনের সিন্ডিকেশন হবে না এবং মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারে সব এজেন্সিই কাজ করতে পারে, এমন প্রপোজাল নিয়ে মঙ্গলবার ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে আলোচনা হবে। ৫৬ এজেন্সির যে কথা উঠেছে সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, দূতাবাস সবসময় প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া কোনো কাজ করা সম্ভব নয়। সারাবিশ্বে পরিশ্রমী জাতি হিসেবে বাংলাদেশিদের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখার দায়িত্ব যেমন সরকারের, তেমনি অন্য সবারও।
‘মালয়েশিয়ায় কর্মরত অন্যান্য দেশের নাগরিকদের তুলনায় এ দেশের আইনকানুন, নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলার ব্যাপারে আলাদা অবস্থান তৈরি করেছে বাংলাদেশিরা। এটি মালয়েশিয়ার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকার, সবাই বিশ্বাস করে’,- বলেন হাইকমিশনার।
তিনি বলেন, সকল প্রবাসীর সম্পদের সুরক্ষা ও নানাবিধ অসুবিধা দূরীকরণে শেখ হাসিনার সরকার সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দুদেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে। বৈঠকে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের শ্রমবাজার ও আমাদের শ্রমিকদের সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক সেলিম রেজা ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ মনিরাসসালেহীন। উপস্থিত ছিলেন ডিপুটি হাইকমিশনার ওয়াহিদা আহমেদ, মিনিস্টার পলিটিক্যাল মো. রইছ হাসান সারোয়ার, ডিফেন্স উইং প্রধান এয়ার কমডোর মো. হুমায়ূন কবির, প্রথম সচিব শ্রম মো. হেদায়েতুল ইসলাম, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার উইং প্রধান মো. মশিউর রহমান তালুকদার, কমার্শিয়াল উইং প্রধান মো. রাজিবুল আহসান, ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. মাসুদ আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মকবুল হোসেন মুকুল, কামরুজ্জামান কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন পান্না, মো. রেজাউল করিম রেজা, ওয়াহিদুর রহমান ওহিদ, রাশেদ বাদল, এ কামাল হোসেন চৌধুরী, মনিরুজ্জামান মনির, শাখাওয়াত হক জোসেফ, যুবলীগের তাজকীর আহমদ, জালাল উদ্দিন সেলিম, মো. সাইদ সরকার, সোহাগ সরকার, সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবুল, শাহ আলম হাওলাদার প্রমুখ।
জেডএ/পিআর