মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশনে লেভি পরিশোধের সময় বৃদ্ধি

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মালয়েশিয়া
প্রকাশিত: ১১:১৬ এএম, ২৫ আগস্ট ২০১৮

মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশনে লেভি পরিশোধের সময় ১৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। অভিবাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের রি-হিয়ারিং প্রোগ্রামের অধিনে ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া শেষ করার পর বৈধ হতে লেভি পরিশোধের মেয়াদ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশটিতে অবৈধভাবে থাকা বিদেশি শ্রমিকদের বৈধ করতে ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রি-হায়ারিং প্রকল্প হাতে নেয় মালয়েশিয়া সরকার। এ প্রকল্পের মাধ্যমে নিবন্ধন করে অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়। দফায় দফায় এ প্রকল্পের মেয়াদও বাড়ানো হয়।

সর্বশেষ গত ৩০ জুন এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে অনেক কোম্পানি শ্রমিকদের লেভি পরিশোধ করতে পারেনি। পরবর্তিতে মালিক পক্ষের অনুরোধে চলতি মাসের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গতকাল (২৪ আগস্ট) ইমিগ্রেশন কর্তৃক্ষের এক নোটিশে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লেভি পরিশোধের সময় বাড়ানো হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর পরে আর সময় বাড়ানো হবে না বলে জানানো হয়েছে। তবে যারা ৩০ জুনের মধ্যে বৈধ হতে পারেননি তাদের থ্রি-প্লাস ওয়ানের মাধ্যমে ৩০ আগস্টের পর দেশে ফিরে যেতে হবে। এ সময় বাড়ানো হবে কিনা তা জানা যায়নি।

Emigra

মালয়েশিয়ায় বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি কর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় দুই লাখই অবৈধ। রি-হায়ারিং প্রকল্পে নিবন্ধনের শেষ ধাপে অবৈধ কর্মীদের বৈধতা দেবে বলেও জানিয়েছিলো দেশটি। তবে অনেক বাংলাদেশির পাসপোর্ট ও কাগজপত্র না থাকায় তারা এ সুযোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

এদিকে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা নিতে আরেকটি সুযোগ দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে এ সুযোগ কবে নাগাদ আসতে পারে সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।

অপরদিকে অবৈধ বিদেশি শ্রকিদের দেশ ছাড়া করতে প্রতিদিনই চলছে ধরপাকড় অভিযান। যখনই কোনো এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে প্রথমেই বৈধ ও অবৈধ সব বিদেশি শ্রমিককে ধরে খোলা জায়গায় সারি করে দাঁড় করানো হচ্ছে। রোদ-বৃষ্টিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষা শেষে বৈধদের ছেড়ে দেয়া হলেও বাকিদের নেয়া হচ্ছে ক্যাম্পে।

এএইচ/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]