সেফুদার আরও কিছু অজানা তথ্য

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:০৫ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৮

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেলিব্রেটি বনে যাওয়া একজন অস্ট্রিয়া প্রবাসী সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা। দীর্ঘ ২৫ বছর থেকে রয়েছে পরবাসে। নিজেকে তিনি মুক্তিযোদ্ধাও দাবি করেন। তবে তার এ মুক্তিযোদ্ধা দাবিটি নিয়েও সন্দেহ রয়েছে লোকসমাজে।

সেফুদার সেরা উক্তি-

‘আমাকে ফাঁসি দাও, তোমাদের ভন্ডামী আর সহ্য করতে পারছি না।’ : সিফাত উল্লাহ

আজকের এই প্রতিবেদনে থাকছে- কে এই সিফাত উল্লাহ? কিভাবে তার উত্থান? কেন এত জনপ্রিয়? আর কেনোই বা তার এই অবস্থা? এসব নিয়ে

সেফুদার পুরো নাম সিফাত উল্লাহ সেফুদা, পদবী চৌধুরী। মূলত ফেসবুকে সিফাত উল্লাহ সেফুদা নামের আইডি থেকে লাইভ ভাইরাল হওয়ায় এই নামেই অধিকাংশ মানুষের কাছে পরিচিত তিনি। এছাড়াও তার কিছু নিকনেম রয়েছে। যেমন- প্রেম সম্রাট, কবি, গায়ক, সাহিত্যিক।

সিফাত উল্লাহর ধর্ম : সিফাত উল্লাহকে ব্লগ, ফেসবুক গ্রুপ, পেজে নাস্তিক সম্বোধন করা হলেও নিজেকে তিনি সুন্নী মুসলিম হিসেবে দাবি করেন। তার মতে, তিনি কারো ধন সম্পদ আত্নসাৎ করেন না, স্রষ্টায় বিশ্বাসী, নামাজ-রোজা রাখেন, হজে যেতে চান।

জানা যায়, ২০১৩-১৪ সালে বাংলাদেশে একের পর এক ব্লগার তথা মুক্তচিন্তার মানুষদের হত্যার ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন সেফুদা।

সেফুদা খুলনার সোনাডাঙ্গায় ৫ নভেম্বর ১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর। ১৯৮৫ (মতান্তরে ১৯৮৮) সালে প্রথম সৌদি আরব যান এবং সেখান থেকে ১৯৮৮ সালে (মতান্তরে ১৯৯১) সালে অস্ট্রিয়ায় যান।

Sefuda

এরপর আর তিনি কখনো দেশে ফিরে আসেননি। বিদেশের মাটিতে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বসবাস করেন।

তথ্য অনুযায়ী, সেফাত উল্লাহ ১৯৭৯/১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে ভিয়েনায় এক স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর হিসেবে রয়েছেন। পাশাপাশি একটি অনলাইন শপে পার্টটাইম কাজ করেন। স্বীকৃত কাজ ছাড়াও তিনি কবিতা লেখেন, গান লেখেন, স্থানীয় গনমাধ্যম তথা টেলিভিশনে কাজ করেন।

সেফুদার স্ত্রী এবং এক সন্তান রয়েছে। যদিও বর্তমানে তার স্ত্রী-সন্তান কিংবা পরিবারের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। পারিবারিক সম্পর্কবিহীন সিফাত উল্লাহ দেশের ওপর রাগ করে একাকী প্রবাস যাপন করছেন দীর্ঘদিন।

সিফাত উল্লাহর প্রিয় খাবার হলো চেরিফল, মদ/ওয়াইন। অধিকাংশ সময় লাইভে এসে এই খাবারগুলো খান এবং মানুষকে এগুলোর গুণাগুন বর্ণনা করেন। খেতে উৎসাহিত করেন। হাফপ্যান্ট এবং সবুজ কালারের টিশার্ট পরতে ভালোবাসেন। তার প্রিয় কাজগুলোর মধ্যে একটা হলো বাংলাদেশের চলমান বিষয়গুলো নিয়ে অশ্লীলভাবে ব্যক্তি বিশেষকে গালাগালি করা।

সেফুদার উল্লেখযোগ্য কিছু উক্তি :

*মদ খাবি মানুষ হবি
*আমার মতো হতে চাও
*আমাকে দেখে হিংসে হয়
*মদ খাও আর পরী...(অশ্লীল)  
*শুটকি খাও আর পেত্নি
*ট্রস ট্রস করে মারবো
*কত মেয়েরা আমাকে ভালবাসে। আমি কি সবাইকে ভালবাসতে পারি?
*আমি প্রেম সম্রাট
*অকেয়?

জানা গেছে, তার মুক্তিযোদ্ধা দাবিটি ভুয়া। ২০১০ সালে বড় ধরনের স্ট্রোক করেন সিফাত উল্লাহ। তার কিছুদিন পর মাথার চুল পড়ে যায় আবছাভাবে। যদিও পূর্বে তার মাথার সামনে টাক ছিল এবং যৌবনকালে ঘাড়ের দিকে লম্বা বাবরি চুল রাখতেন। স্ট্রোকের পর তার মাথা হঠাৎ হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং উল্টাপাল্টা কাজ করে বসেন। তারই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিককালে ফেসবুক লাইভে আসেন, যা সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয় এবং তিনি হয়ে যান লাইভ সেলিব্রেটি।

এমআরএম/এএইচ/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]