২০১৯ সালের ফোবানা সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৮

হাকিকুল ইসলাম খোকন

চলতি বছরের (২০১৮ সাল) ফোবানা সম্মেলন শেষ হতে না হতেই শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের ফোবানা সম্মেলনের প্রস্তুতি। সম্প্রতি আয়োজক সংগঠন ড্রামা সার্কল নিউইয়র্ক সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভার মাধ্যমে সম্মেলন প্রস্তুতির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে।

মতবিনিময় সভায় ফোবানা সম্মেলনের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৯ সালের ৩৩তম ফোবানা সম্মেলন যুক্তরাষ্ট্রের লেবার ডে উইকেন্ডে ৩০ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এবার সম্মেলনের স্লোগান থাকবে ‘আওয়ার চিলড্রেন আওয়ার প্রাইড’।

fobana

এবার ফোবানা সম্মেলন গতানুগতিক নয়, বরং দৃষ্টান্তস্থাপনকারী সম্মেলন উপহার দেয়া হবে। সেভাবেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এ জন্য মিডিয়ার সাথে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শও চাওয়া হয়েছে।

ফোবানা কর্মকর্তারা জানান, ২০১৯ সালের ফোবানা সম্মেলন ঐতিহাসিক সম্মেলনে পরিণত করতে প্রাথমিকভাবে ম্যানহাটানের ঐতিহাসিক মেডিসন স্কয়ার গার্ডেন ভেন্যু হিসেবে পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিকল্প ভেনু হিসেবে ম্যানাহাটানের হিলটন হোটেল, ম্যারিয়ট মারকুইস হোটেল এবং লং আইল্যান্ডের নাসাউ কলাসিয়ামের কথাও ভাবা হচ্ছে।

fobana

ইতোমধ্যে ছয়জন স্পন্সর কারার বিষয়ে সাড়া দিয়েছেন। তারা হলেন- ফ্লোরিডার নওশাদ চৌধুরী, নিউইয়র্কের জন ফাহিম, জিয়া হাই, কবীর পাটোয়ারী ও পারভীন পাটোয়ারী।

কর্মকর্তারা জানান, এবার সম্মেলনের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ফামাক্যাশ এবং যৌথভাবে উৎসব ডটকম ও হিলসাইড হোন্ডা তাদের অংশগ্রহণের কথা চূড়ান্ত করেছে। এছাড়া শিগগিরই অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে ফোবানা সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।

fobana

মতবিনিময় সভায় ফোবানার নতুন কর্মকর্তারা অতীতের ফোবানা সম্মেলনের আলোকে এবং অতীতের ভুলভ্রান্তি ভুলে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য ৩৩তম ফোবানা সম্মেলন আরও ভালো, সুন্দর, কার্যকর এবং সময়োপযোগী করার বিষয়ে পরামর্শ করার আশা প্রকাশ করে। সভায় ৩৩তম ফোবানা সম্মেলনের কনভেনর নার্গিস আহমেদ নিউইয়র্কের বিভিন্ন মিডিয়ার সম্পাদক, পরিচালক ও সাংবাদিকদের স্বাগত জানান।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলনের সদস্য সচিব আবীর আলমগীর। এ সময় চিফ কো-অর্ডিনেটর জহির মাহমুদ ও রেজিস্ট্রেশন উপ-কমিটির চেয়ারম্যান পলাশ পিপলু ছাড়া, ড্রামা সার্কলের সদস্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরএস/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]