তিন ঘাতককে ফেরত পাঠাতে নিউইয়র্কে মানববন্ধন

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৪ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৮

‘একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আশরাফুজ্জামান খান এবং পাক হায়েনাদের সহযোগিতার পাশাপাশি মুক্তিকামী বাঙালি নিধনে অংশগ্রহণের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার জব্বার, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার দায়ে ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীকে দেশে পাঠাতে নিউইয়র্কে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

এদের ৩ জনই যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের সময় একাত্তরের বর্বরতা এবং পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের নৃশংসতা সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য গোপন করেছে। এই কারণেই প্রচলিত রীতি অনুযায়ী ৩ জনেরই সিটিজেনশিপ কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের যুক্তরাষ্ট্র শাখা আয়োজিত এ কর্মসূচির ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধীদের আটক করে বাংলাদেশ সরকারের সমীপে সোপর্দ করার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের।

কারণ, এরা সকল সময়ের জন্যেই মানবতার দুশমন। সুযোগ পেলেই এরা হামলে পড়বে অসহায় মানুষের ওপর। এরা সমাজ, জাতি এবং রাষ্ট্রের শত্রু।’

‘এই ঘাতকেরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি লাভ করেছে। এই অপরাধেই ওদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া যায়। তবুও কেন ট্রাম্প প্রশাসন গড়িমসি করছে-তা বোধগম্য নয়’ বলা হয় ঘোষণাপত্রে।

আরও বলা হয়েছে, ‘একইসঙ্গে আমরা বাংলাদেশের কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান রাখছি, স্টেট ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে অবিলম্বে বাংলাদেশে বিচারের রায়ের কপি প্রদান করার জন্য। বাংলাদেশ সরকারের নিযুক্ত ল’ ফার্মকেও পরামর্শ দেয়া উচিত যে, ওরা মিথ্যা বলে যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব পেয়েছে। এমন মিথ্যা তথ্য প্রদানকারী অসংখ্য মানুষের নাগরিকত্ব ইতিপূর্বে কেড়ে নিয়ে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়ার নজির রয়েছে।

বক্তব্য রাখেন কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, শরাফ সরকার, ডা. মাসুদুল হাসান, ড. এম এ বাতেন, হাজী এনাম, তৈয়বুর রহমান টনি, বাচ্চু, শুভ রায়, শিবলী সাদিক সিবলু প্রমুখ।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০০৩ সাল থেকে যুদ্ধাপরাধী, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, গণহত্যা, চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি জঘন্য অপকর্মে লিপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিশেষ একটি অভিযান শুরু করেছে।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]