বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাজের প্রশংসা করলেন সারোয়াকের চিফ মিনিস্টার

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মালয়েশিয়া
প্রকাশিত: ০৪:৫৯ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৮

মালয়েশিয়া সারাওয়াক প্রদেশের গভর্নর ও চিফ মিনিস্টারের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাজের প্রশংসা করেন সারোয়াকের চিফ মিনিস্টার।

দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম সম্প্রতি সারাওয়াক প্রদেশের চিফ মিনিস্টার দাতুক পাটিংগি আবাং হাজি আবদুল রহমান জোহারি বিন তুন দাতুক আবাং হাজি ওপেং সাক্ষাৎ করেন।

এছাড়া ২৭ জুলাই সারাওয়াক প্রদেশের গভর্নর তুন পেহিন সেরি হাজি আবদুল তাইব মাহমুদের সঙ্গে পৃথক পৃথক তাদের অফিসে সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে সারাওয়াক প্রদেশে বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ, বাণিজ্যিক প্রসার, বিনিয়োগ এবং শিক্ষা বিষয়ে আলোচনা হয়।

চিফ মিনিস্টার জানান, সারাওয়াক প্রদেশ বর্তমানে এগ্রিকালচার, কনস্ট্রাকশন এবং ই-ইকোনমি সেক্টরে বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদান করেছে এবং এ সকল সেক্টরে বাংলাদেশ থেকে সিস্টেমেটিক দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগে আগ্রহী। মালয়েশিয়া যেহেতু বাংলাদেশকে সোর্স কান্ট্রি করে শ্রম নিয়োগ শুরু করেছে সেহেতু সারাওয়াক সরকারকেও অনুরূপভাবে শ্রম নিয়োজনের জন্য অনুরোধ করা হলে চিফ মিনিস্টার আশা প্রকাশ করেন এবং বলেন যে সারাওয়াকের নিজস্ব নিয়ম-কানুন ও পলিসি আছে সে মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Minister2

চিফ মিনিস্টারকে জানানো হয় যে, তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছে। সে মোতাবেক বাংলাদেশ থেকে প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ ও দক্ষ লোক নিয়োগ করতে পারে।

সাক্ষাৎকালে সম্প্রতিক মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের নির্যাতিতরা বিপুল পরিমাণে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে এবং বাংলাদেশ এ সকল অসহায় লোকদের পাশে থেকে যে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তাতে সাধুবাদ জানান এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তিনি রোহিঙ্গা সমস্যার আশু সুষ্ঠু সমাধান প্রত্যাশা করেন।

এছাড়া মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রশংসা করে চিফ মিনিস্টার বলেন, একমাত্র বাংলাদেশি শ্রমিকরাই কাজে মনোযোগী বেশি। তারা কাজকে পছন্দ করে। কাজের প্রতি তাদের অগাধ বিশ্বাস।

সাক্ষাৎকালে মিনিস্টার পলিটিক্যাল মো. রাইছ হাসান সারোয়ার, শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলাম, প্রথম সচিব (বাণিজ্য) উপস্থিত ছিলেন।

এমআরএম/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]