মালয়েশিয়ায় হত্যার পর বাংলাদেশি গৃহবধূর মরদেহ জঙ্গলে ফেললেন স্বামী

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মালয়েশিয়া
প্রকাশিত: ০৫:৫২ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৮

* স্বামীকে খঁজছে পুলিশ
* পটুয়াখালীতে সাজেদার বাড়িতে চলছে মাতম
* নিয়মিত নির্যাতন চলতো সাজেদার ওপর

মালয়েশিয়ায় সাজেদা-ই-বুলবুল (২৯) নামের এক বাংলাদেশি গৃহবধূকে হত্যার খবর পাওয়া গেছে। তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে লাগেজের ভেতরে ভরে জঙ্গলে ফেলে দেয়া হয়। গত ৫ জুলাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশ বলছে, সাজেদার স্বামী শাহজাদা সাজুই এ হত্যায় জড়িত। তিনি পালিয়েছেন। মালয়েশিয়ার পুলিশ তাকে খুঁজছে।

নিহতের (২৯) পাসপোর্ট নং : বি এ০৭৩২৫৭০। পটুয়াখালীর সদর পুরাতন আদালতপাড়ার মো. আনিস হাওলাদারের (ফিটার) কনিষ্ঠ কন্যা তিনি।

সাজেদার খুনের ঘটনা জানার পর শোকের মাতম চলছে তার পরিবারে। তার বোন উপমা ফারহানা টেলিফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএম পাস করেন তার বোন সাজেদা। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ সুবিধাখালীর ঘটকের আন্দুয়া এলাকার সোহরাব ফকিরের ছেলে শাহজাদা সাজুর সঙ্গে বিয়ে হয় সাজেদার। তাদের সংসারে মুগ্ধ নামের সাত বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে। ঘাতক শাহজাদা তার স্ত্রীকে উচ্চতর পড়াশোনা করার প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মালেয়েশিয়ায় নিয়ে যান।

malaishia-2হত্যার শিকার স্ত্রী সাজেদা-ই-বুলবুল আর অভিযুক্ত স্বামী শাহজাদা সাজু 

সেখানে নিজে প্রতিষ্ঠিত হলেও তার স্ত্রীকে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ তৈরি করে দেননি।

‘নিয়মিত নির্যাতন করা হতো তার বোনের ওপর। তাকে দুই তিন দিন পরপর খাবার দেয়া হতো। এসব ঘটনা সাজেদা তার বাবা-মাকে মাঝে মাঝে জানাতো। একপর্যায়ে সাজেদার ওপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করেন শাহজাদা। বাংলাদেশ থেকে নির্যাতনের জন্য শাহজাদাকে উস্কে দিতেন তার মা, মামাসহ অন্যান্যরা’,- বলেন তিনি।

উপমা ফারহানা আরও জানান, শাহজাদার নির্যাতন সইতে না পেরে এক আত্মীয়ের বাসায় পালিয়ে যান সাজেদা। সেখানে ২-৩ দিন থাকার পর শাহজাদা তার কাছে ক্ষমা চেয়ে পুনরায় তাকে নিজ ঘরে ফিরিয়ে আনেন। এর পরপরই নৃশংস খুনের শিকার হন সাজেদা। ঘাতক শাহজাদা নৃশংসভাবে খুনের পর সাজেদার মরদেহ একটা লাগেজে ভরে জঙ্গলে ফেলে দেন। সেখান থেকে মালয়েশিয়া পুলিশ লাগেজ ভর্তি মরদেহ উদ্ধার করে।

জেডএ/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]