সুদানে কৃষি ও মৎস্যখাতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা

আব্দুল হালিম নিহন
আব্দুল হালিম নিহন আব্দুল হালিম নিহন , সৌদি আরব প্রতিনিধি সৌদি আরব
প্রকাশিত: ০৯:২২ এএম, ১৩ জুলাই ২০১৮

সুদানের স্বাদু পানিতে মৎস্য চাষ ও সাগর থেকে মৎস্য আহরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৮ ও ৯ জুলাই এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও সুদানের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, সুদানের প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বুশারা গুমা আরর, সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার ড. আবুল হাসান ও দ্বিতীয় সচিব মো. বশির, সুদানের চেম্বার অব কমার্সের মহাপরিচালক আব্দুল আজিজ আবু তালেব, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশের কয়েকজন ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।

Saudi Arabia

সুদানের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ গত ৯ জুলাই সুদানের প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বুশারা গুমা আররের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। এছাড়া তিনি একই মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ড. কামালের সাথেও বৈঠক করেন। বৈঠককালে রাষ্ট্রদূত সুদানে নীলনদের পাশে দীর্ঘমেয়াদে জমি লিজ নিয়ে তুলা ও পশুসম্পদ পালনের জন্য বাংলাদেশের বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় কৃষিখাতে বিনিয়োগের পাশাপাশি সুদানের স্বাদু পানিতে মৎস্য চাষ, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপননের বিষয়ে বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনার বিষয়টিও উঠে আসে।

Saudi Arabia

রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, ‘বাংলাদেশের এ সকল খাতে অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং বাংলাদেশের বিনিয়োগের ফলে সুদানের এ সকল খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এতে করে দু'দেশই লাভবান হবে। এছাড়া মৎস্যখাতে সুদানের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হবে।'

বর্তমানে সুদান থেকে বাংলাদেশ তুলা আমদানি করে থাকে ও সুদান বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানি করে।

Saudi Arabia

এর আগে গত ৮ জুলাই রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ সুদানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম মাহমুদ হামিদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ইদ্রিসের সাথে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন। এ সময় সুদানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সুদানের কারাগারে কোনো বাংলাদেশি শ্রমিক বন্দি নেই। বৈঠককালে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনে দু'দেশের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।

প্রায় ১৯ লাখ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সুদানের লোকসংখ্যা মাত্র ৩ কোটি ৭০ লক্ষ। সুদানে প্রবাহমান নীলনদের কারণে এখানকার ভূমি খুবই উর্বর, যা চাষাবাদ ও পশু পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এছাড়া স্বাদু পানিতে মৎস্য চাষ ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণেও রয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা। এখানে চীন আবাদি জমি দীর্ঘমেয়াদে লিজ নেয়ার মাধ্যমে তুলা চাষ করে থাকে।

এসআর/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]