ফ্রাঙ্কফুর্টে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রবাসীদের ঈদ পুনর্মিলনী

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২১ পিএম, ২৭ জুন ২০১৮

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ কল্যাণ ট্রাস্ট জার্মানির উদ্যোগে শনিবার স্থানীয় একটি অডিটোরিয়ামে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বর্ণিল আয়োজনে ঈদ পরবর্তী বাংলাদেশিদের মিলনমেলা আয়োজিত হয়।

ফ্রাঙ্কফুর্ট ও পার্শ্ববর্তী বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণ এবং তাদের নাচ গান উৎসবকে করে তুলেছিল আনন্দময়। ঈদের সাঁজে সজ্জিত জার্মানি প্রবাসী বাঙালি রমণীদের অংশগ্রহণ অনেকটাই ছিল লক্ষণীয়। নাচ, গান, কবিতা সব কিছু মিলিয়ে পুরো অনুষ্ঠান হয়ে উঠেছিল প্রবাসের বুকে এক টুকরো বাংলাদেশ।

রোকন ফয়সালের মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মঞ্জুর হোসেন সরকার। উপস্থিত কমিউনিটি নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাসুদ রেজা, খালেদ ইসলাম, মাফুজ, ফয়সাল আহমেদ, হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

Germani

জার্মানি প্রবাসী শিল্পী রিয়েল আনোয়ার, মিথি মারজান, কাইফ খান, নিম্মি কাদের, বাবুল তালুকদারের একের পর এক দেশীয় গান অনুষ্ঠানকে করে তুলেছিল প্রাণবন্ত।

অসংখ্য গান, নৃত্য, আবৃত্তি, কৌতুক, মেয়েদের বালিশ খেলাসহ সব কিছু যেন সবাইকে হারিয়ে দিয়েছিল প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল দেশীয় খাবারের ব্যাপক আয়োজন। মন মাতানো এ অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন রাছেল, এমদাদুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, দৌলদউদিন, ফজলু মিয়া, মাসুদ, শাহালম সহ আরো আনেকে।

অনুষ্ঠানে বাচ্চাদের খেলা, মহিলাদের বালিশ খেলা, ছেলেদের হাড়ি ভাংগা ইত্যাদিতে বিজয়ীদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। বাংলাদেশ কল্যাণ ট্রাস্টের নেতারা এবং কমিউনিটির নেতারা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

Germani

সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বাঙালি কমিউনিটির প্রায় সবাই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ফলে ঈদ পুনর্মিলনী পরিণত হয়েছিল প্রবাসী বাংলাদেশিদের বার্ষিক মিলনমেলায়।

প্রবাসের শত ব্যস্ততার মাঝে এই অনুষ্ঠান সবার জীবনে নিয়ে আসে নতুন উদ্দীপনা। ভালোবাসতে শেখায় দেশকে, দেশীয় সংস্কৃতিকে এবং ঐক্যবদ্ধ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে এমনটাই বলছিলেন অংশগ্রহণকারীদের অনেকে।

হাবিবুল্লাহ আল বাহার/এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]