কানাডায় প্রাদেশিক পরিষদে বাংলাদেশি ডলির বিজয়

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৪ এএম, ০৮ জুন ২০১৮

কানাডার অন্টারিও প্রদেশের মেম্বার অব প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট (এমপিপি) নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক ডলি বেগম। অন্টারিও প্রাদেশিক সরকার নির্বাচনে টরেন্টো এলাকার একটি আসনে তিনি এমপিপি নির্বাচিত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ জুন) ভোটগ্রহণের পর রাতেই ফল ঘোষণা করা হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্রগ্রেসিভ কনজারভেটিভ পার্টির গ্রে এলিস। ডলি পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৪২ ভোট, যা তার সবচেয়ে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা গ্যারি এলিসের চেয়ে পাঁচ হাজার বেশি। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৭১ ভোট।

দেশটির নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) প্রার্থী ছিলেন ডলি। এতে তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বর্তমানে দায়িত্বরত লিবারেলস পার্টির লোরেঞ্জো বেরারডিনেট্টি ও পিসি পার্টির গ্যারি এলিস।

ডলি বেগমের জন্ম বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলায়। ১১ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি কানাডায় চলে যান। ২০১২ সালে ডলি টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৫ সালে উন্নয়ন প্রশাসনে মাস্টার্স করেন টরেন্টো ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে।

পড়ালেখা শেষ করে সিটি অব টরেন্টোতে প্রায় ১০ মাস কাজ করেন। গত এপ্রিল পর্যন্ত রিচার্স অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করেন দ্য সোসাইটি অব অ্যানার্জি প্রফেশনান্সে। ডলি প্রদেশের কিপ হাইড্রো পাবলিক ক্যাম্পেনের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। স্কারবারো স্বাস্থ্য জোটের সহ-সভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া ওয়ারডেন উডস কমিউনিটি সেন্টারের উপপ্রধান তিনি।

এ জয়ে যুক্তরাজ্যের এমপি বাংলাদেশি রুশনারা আলী, রূপা আশা হক ও টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক, নরওয়ের এমপি বাংলাদেশি সায়রা খান এবং মালয়েশিয়ায় এমপি বাংলাদেশি আবুল হুসেনদের সারিতে যুক্ত হলেন ডলি।

আরএস/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]