মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শনে টিপু মূন্সী এমপি

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মালয়েশিয়া
প্রকাশিত: ০৩:৩৯ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০১৮

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুন্সী এমপি দূতাবাসের কন্সুলার সেবা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন হাইকমিশনার মুহ. শহীদুল ইসলাম। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তিনি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।

মালয়েশিয়ার জালান বেসার, আমপাংস্থ পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্র প্রবাসীদের সেবা দিতে সরকার এবং মিশনের কর্মকর্তারা সব সময় আন্তরিক। দূতাবাসের পাশাপাশি দেশটির প্রত্যেকটি প্রদেশে দেয়া হচ্ছে কন্স্যুলার সেবা। শুধু তাই নয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রবাসীরা সেবা নিতে এসে যেন ভোগান্তির শিকার না হন সে কারণে দ্রুত সেবা প্রদানের জন্য আরও ২৪ জন কর্মকর্তা দেশ থেকে আনা হয়েছে এবং সেবার মান বাড়ানো হয়েছে।

media

এছাড়া হাইকমিশনে চালু করা হয়েছে তথ্যসেবা কেন্দ্র। যেখানে সার্বক্ষণিক দু’জন কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে পাসপোর্ট তৈরির জন্য বিনামূল্যে ফরম বিতরণ, ফটোকপি করা, পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ হারিয়ে গেলে উত্তোলনসহ যাবতীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। টিপু মুন্সী হাইকমিশন ঘুরে দেখেন।

এ সময় সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্ম তৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। ডেপুটি হাই কমিশনার ওয়াহিদা আহমেদ, ডিফেন্স উইং মো. হুমায়ুন কবির, লেবার কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম, মিনিস্টার রইছ হাসান সারোয়ার, প্রথম সচিব মাসুদ হোসাইন, কমার্শিয়াল উইং রাজিবুল আহসান, প্রথম সচিব শ্রম মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমান তালুকদার, তাহমিনা ইয়াছিমন, দূতাবাসের ২য় ফরিদ আহমেদ ও দূতাবাসের সব কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

media

এদিকে ২০১৭ সালে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাসপোর্ট ইস্যু হয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮০১টি। পাসপোর্টের আবেদন বা এনরোলমেন্ট করা হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার। এছাড়া গত বছর ৪ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিকে পাসপোর্ট সেবা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া একদিনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫০০ পাসপোর্ট ডেলিভারি ও প্রায় ২ হাজার নতুন পাসপোর্ট তৈরির আবেদন গ্রহণ বা এনরোলমেন্ট করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার লোকের সেবা দেয়া হচ্ছে বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।

এমআরএম/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]