সৌদি প্রবাসী হত্যায় বার্সেলোনায় প্রতিবাদ সভা

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক স্পেন প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:৫৯ পিএম, ২৮ মার্চ ২০১৮

সৌদি প্রবাসী ফখরুল হত্যাকাণ্ডে স্পেনের বার্সেলোনায় প্রবাসীরা প্রতিবাদ সভা করেছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেনীর দাগন ভূঁইয়া উপজেলায় ফখরুল উদ্দিন চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ২৬ মার্চ বিকেল ৫টায় রামলা রাভালের রেস্তোরাঁয় ‘আমরা প্রবাসী’ ব্যানারে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।

সংগঠক শফিক খান ও সালাহ উদ্দিনের উপস্থাপনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন কুলতুরাল ই-উমানেতারিয়া দ্য বাংলাদেশ এন কাতালোনিয়া-এর সভাপতি মাহারুল ইসলাম মিন্টু, বার্সেলোনার বাংলা স্কুলের সভাপতি আলাউদ্দিন হক নেসা, স্পেন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফাজ জনি।

এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন, প্রচার সম্পাদক লায়েবুর রহমান, এটিএন বাংলার বার্সেলোনা প্রতিনিধি সালেহ আহমদ সোহাগ, অ্যাসোসিয়েশন কুলতুরাল-এর সহ-সভাপতি উত্তম কুমার, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি শাহ আলম স্বাধীন, সাধারণ সম্পাদক সোহেল দেওয়ান, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক জাফার হোসাইন, সংগঠক সাহাব উদ্দিন, শিমুল চৌধুরী, মোহাম্মদ হাসান, জাহাঙ্গির আলম বক্তব্য দেন।

সভায় বক্তারা নিহত ফখরুলের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করে। বক্তারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানায়। জড়িতদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ও স্পেনের রাষ্ট্রদূতের কাছে আবেদন জানায়।

প্রতিবাদ সভায় নিহত ফখরুলের ভাই নাজিম উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। তিনি হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে বলেন- ‘হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন আগে ফখরুল তার বন্ধু হিসেবে জানতো এমন কয়েকজন ব্যক্তি নতুন মোটরসাইকেল চালানোর কথা বলে নিয়ে যায়। পরে সেই মোটরসাইকেল ফেরত দেয়া নিয়ে তাদের সঙ্গে ফখরুলের বাকবিতণ্ডা হয়।

গত ১৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে এগারোটার দিকে কয়েকজন ফখরুলকে ডেকে নিয়ে যায় ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে মোটরসাইকেল ফেরত দেবে বলে। পরে ফখরুল আর বাসায় ফেরেনি। পরের দিন এলাকাবাসী ফখরুলের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ স্থানীয় একটি ব্রিজের পাশে পড়ে থাকতে দেখে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বাদী হয়ে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন ৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

উল্লেখ্য, নিহত ফখরুল উদ্দিন চৌধুরী সৌদিতে থাকতেন। সম্প্রতি তিনি ছুটিতে দেশের বাড়িতে গিয়ে খুন হন।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]