স্পেনে দূতাবাসের উদ্যোগে জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

মিরন নাজমুল
মিরন নাজমুল মিরন নাজমুল , স্পেন প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:০০ পিএম, ১৮ মার্চ ২০১৮

স্পেনের মাদ্রিদে বাংলাদেশ দূতাবাস ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন উপলক্ষে বেলা ১১টায় দূতাবাস শিশুদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মো. নাভিদ শফিউল্লাহ‘র তত্ত্বাবধানে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি শিশু ও কিশোর দু‘টি গ্রুপে অংশগ্রহণ করে।

প্রতিযোগিতা শেষে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শের ওপর আলোচনা সভা ও বিজয়ী শিশুদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। দূতাবাসের হল রুমে স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করেন।

দূতাবাসের মিনিস্টার ও ফাস্ট চ্যান্সারি হারুণ আল রশিদের সঞ্চালনায় সভার শুরুতে স্বাধীনতা যুদ্ধে সব শহীদ, জাতীয় চার নেতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সম্প্রতি নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ১মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের মিনিস্টার ও দূতালয় প্রধান অনুষ্ঠান সঞ্চালক হারুন আল রশিদ ও প্রথম সচিব (শ্রম) মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম।

Spain-2

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার ঘোষণা দেন, দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি স্প্যানিশ ভাষায় অনুদিত হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জানার জন্য স্প্যানিশদের মধ্যে আগ্রহ দেখেছি বলে আমরা বইটি স্প্যানিশ ভাষায় অনুদিত করেছি। ফলে স্প্যানিশরা আরও গভীরভাবে বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারবে।

রাষ্ট্রদূত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং বাঙালি নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও তার সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাদের জাতি হিসেবে অগ্রসর হতে অনুপ্রেরণা যোগায়। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ক্রমশ উন্নয়নের দিকে ধাবিত করে নিয়ে যাচ্ছেন এবং আমরাও পৃথিবীর যেখানেই থাকি না কেন; বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দিতে গৌরবান্বিত হই।

অনুষ্ঠানে স্পেনের বাংলাদেশি কমিউনিটির ব্যক্তিরা, সাংবাদিক, শিশু ও অভিভাবকসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এমআরএম/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]