ইতালিতে বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

জমির হোসেন
জমির হোসেন জমির হোসেন , ইতালি প্রতিনিধি ইতালি
প্রকাশিত: ০৯:৩৭ এএম, ১৮ মার্চ ২০১৮

ইতালির রাজধানী রোম বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে শনিবার (১৭ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস কার্যালয়ে কেক কাটা হয়। এর আগে জাতির জনকের সম্মানে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

jagonews24

প্রথমেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রোমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবাহান সিকদার। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল ইতালিতে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের জন্য কবিতা, ছড়া ও বিভিন্ন ক্রিড়া প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী করা হয়।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলোয়াত করেন প্রথম সচিব আরফানুল হক। দূতাবাসের প্রথম সচিব ইরিন ইসলাম জুলির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সর্ব ইউরোপ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কেএম লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম কিবরিয়া, ইতালি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলি আহমেদ ঢালী।

এতে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন মানস মিত্র, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব শেখ সালে আহমেদ।

jagonews24

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইতালি আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম মাঝি, জসিম উদ্দীন, আব্দুর রউফ ফকির, আতিয়ার রসুল কিটন, এম এ রব মিন্টু, আবু তাহের, দীন মোহাম্মদ, হোসনে আরা বেগম প্রমুখ।

দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সেলর রফিকুল আলম, প্রশাসন কর্মকর্তা শেখ শামীম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর শিশুকালের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির জনক জন্ম গ্রহণ করেছেন। তিনি জন্ম না নিলে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না। জাতির পিতা শিশুদের খুব আদর করতেন। তাই বিদেশের মাটিতে আমরাও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করতে পারছি।

পরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের তাতে রাষ্ট্রদূত পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠান শেষে সুস্মিতা সুলতানার পরিচালনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

এমএমজেড/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]