নিউইয়র্কে দুই ঈদে ছুটির দাবি প্রবাসী বাংলাদেশিদের

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:১৩ পিএম, ১৬ মার্চ ২০১৮

দুই ঈদে ছুটির দাবি জানিয়েছে নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। মঙ্গল নিউ ইয়র্ক রাজ্যের রাজধানী শহর আলবেনিতে। বেশ কিছু দাবি আদায়ের জন্যে গত ৭ বছর ধরেই বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাডভোকেসি গ্রুপ (বিএএজি) এর ব্যানারে অঙ্গরাজ্য পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের নীতি-নির্ধারকসহ নিউ ইয়র্ক রাজ্য গভর্নরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের তারা সাক্ষাৎ করেন।

দাবিগুলো হল- নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হালাল খাদ্য সরবরাহ, দুই ঈদের দিন ছুটি ঘোষণা, শিশুকালে মা-বাবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর এখন পর্যন্ত যারা ইমিগ্রেশনের বৈধ স্ট্যাটাস পাননি তাদের নিরাপদে বসবাস ও কাজের সুযোগদানের লক্ষ্যে ড্রিম অ্যাক্ট তৈরি, ড্রিমারদের উচ্চ শিক্ষার্থে স্কলারশিপ প্রবর্তন, পরিবেশ সুরক্ষায় যথাযথ আইন, ধর্মীয় পোশাকের সুরক্ষা, ট্যাক্সি ড্রাইভারদের নিরাপত্তায় আইন তৈরি, ইত্যাদি।

বিএএজির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, সমগ্র মুসলিম জনগোষ্ঠীর পক্ষে এ দাবি আদায়ের চেষ্টায় আছি। একেবারেই ভিন্ন একটি পরিবেশের জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন আদায় করা যতটা জটিল মনে হয়েছিল, ৭ বছরের ব্যবধানে তা আর মনে হচ্ছে না। অনেকেই আমাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

জয়নাল আবেদীন বলেন, ইতোমধ্যে স্টেট সিনেটর ডেমক্র্যাট অ্যান্থনি আভেলা জুনিয়র এবং স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান ডেভিড ওয়েপ্রিন ঈদের দু'দিন ছুটি, ধর্মীয় পোশাকের বৈষম্য বিরোধী বিধি এবং ড্রিম অ্যাক্ট বিল উত্থাপন করেছেন অঙ্গরাজ্য পার্লামেন্টে।

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য পার্লামেন্টে পাবলিকানদের সমর্থন ব্যতীত কোনো আইন করা সম্ভব হয় না। জয়নাল আবেদীন বলেন, আমরা হতাশ হইনি। রীতি অনুযায়ী দেন-দরবার চালাচ্ছি। এবার ২৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আমরা বৈঠক করেছি ৬৬ জন সিনেটর এবং অ্যাসেম্বলিমেনের সঙ্গে।

অভিভাবকদের মধ্যে যারা শুধু বাংলায় কথা বলতে পারেন, তারাও ছিলেন। তাদের বক্তব্য সঙ্গে সঙ্গে অনুবাদকের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের কাছে উপস্থাপন করা হয়। অধিকাংশই আমাদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন এবং সহকর্মীদের সঙ্গে তারা এ নিয়ে কথা বলবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। এটিই আমাদের সাফল্য।

প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে পাশ হওয়া আইন অনুযায়ী এই সিটির সকল পাবলিক স্কুল-কলেজে দুই ঈদের দিন ছুটি ঘোষিত হচ্ছে। সেই বিধি পুরো অঙ্গরাজ্যে পাবলিক স্কুল-কলেজে প্রসারিত করতে চাচ্ছেন মুসলিম সম্প্রদায়।

এমআরএম/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]