সৌদি আরব ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক

আব্দুল হালিম নিহন
আব্দুল হালিম নিহন আব্দুল হালিম নিহন , সৌদি আরব প্রতিনিধি সৌদি আরব
প্রকাশিত: ০৮:৪১ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৮

সৌদির রিয়াদে ১২তম বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক শুরু হয়েছে। দু’দিনব্যাপী এ বৈঠকে দু’দেশের শ্রম, অর্থ, বিনিয়োগ, বাণিজ্য, শুল্ক, বিমান পরিবহন, কৃষি, শিক্ষা, আন্তর্জাতিক ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম’র নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশগ্রহণ করে। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার বৈঠকে অংশ নেন।

এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। যৌথ কমিশনের বৈঠকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা হয়। সকালে যৌথ কমিশনের উদ্বোধনী আলোচনায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম বলেন, সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে যা যৌথ সংস্কৃতি, ধর্ম, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর নির্ভর করে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি এখন ধারাবাহিক, বিগত কয়েক বছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ অর্জিত হয়েছে যা গত বছরে ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। সচিব বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে।

কাজী শফিকুল আজম সৌদি আরবে প্রশিক্ষিত জনশক্তি নিয়োগ দেয়ার লক্ষ্যে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আহ্বান জানান। তিনি আইটি, প্রকৌশলী, হিসাবরক্ষক ও ব্যাংক খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগের অনুরোধ জানান। সচিব উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য দু’দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের কথাও উল্লেখ করেন।

যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকে শ্রম সংক্রান্ত বিষয় ও সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয়সমূহ আলোচিত হয়। সৌদি আরবের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ও অন্যান্য সংস্থার মোট ২৬ জন প্রতিনিধি বৈঠকে যোগ দেন। আগামী দিনে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে বৈঠকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

এমআরএম/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]