ইতালিতে ‘একুশ আমার চেতনা’ স্লোগানে শিশু-কিশোরদের প্রতিযোগিতা

জমির হোসেন
জমির হোসেন জমির হোসেন , ইতালি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:৪০ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘একুশ আমার চেতনা’ শ্লোগানে ইতালির রোমে শিশু-কিশোরদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় তরপিনাত্তারার স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে অঙ্কুরের ৮ম প্রয়াস অনুষ্ঠিত হয়।

প্রবাসে বেড়ে ওঠা আগামী প্রজন্মকে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস, ভাষা, কৃষ্টি-সংস্কৃতিসহ নানান বিষয় জানাতে অঙ্কুর বিগত ৭ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় ৪ থেকে ১৬ বছর বয়সের প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিযোগী বয়সভিক্তিক বর্ণমালা, আবৃতি, চিত্রাংকন ও সংগীতসহ বিভিন্ন আয়োজনে অংশগ্রহণ করে।

এ সময় শিশু-কিশোররা তাদের পরিবেশনার মাধ্যমে ভাষা আন্দোলন তথা বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি উপস্থাপন করে।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রোমে নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার। তিনি শিশুদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন এবং বাংলার সমৃদ্ধ ইতিহাস লালন করতে অভিভাবকদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন আমাদের শিকড়ের সন্ধান করা উচিত। যেহেতু আমরা বাঙালি সেহেতু ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমাদের শিকড় বাংলাকে জানাতে হবে।

Italy-ekush-1

রাষ্ট্রদূত অঙ্কুরের ৭ বছরের ধারাবাহিকতার কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, যারা এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে শিশুদের বাংলা ভাষা তথা বাংলাদেশ সম্পর্কে কাজ করে যাচ্ছে তারা মূলত প্রবাসে দেশের কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও তিনি অঙ্কুরের পথচলার মাঝে ভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যেও আগামীর উজ্জ্বল বাংলাদেশকে বহিঃবিশ্বে দেখতে পান বলে উল্লেখ করেন।

সুস্মিতা সুলতানার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব হাসান ইকবাল, আব্দুর রশিদ, আতিয়া রসূল কিটনসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজকরা মনে করেন, বাংলাদেশের সঠিক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস জানা শিশুদের অধিকার আর আমাদের দায়িত্ব। তাই অভিভাবকদের পাশে নিয়ে প্রবাসে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি তুলে ধরতে আগামীর পথে স্বপ্ন পূরনের প্রত্যাশা করেন।

অনুষ্ঠানের স্পন্সর হিসাবে সার্ভিস ইতালিয়া, পপুলার ট্রাভেলস, লায়লা ফ্যাশন ও সুলতানা ফ্যাশনসহ সকলেই অঙ্কুরের পাশে থাকার অঙ্গিকার করেন।

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের পাশাপাশি সকল শিশুদের পুরস্কৃত করেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।

এমবিআর/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]