জেদ্দায় ওআইসি শ্রম মন্ত্রীদের চতুর্থ ইসলামি সম্মেলন শুরু
সৌদি আরবের শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এবং ইসলামি সহযোগী সংস্থা (ওআইসি) যৌথভাবে সম্মেলন আয়োজন করেছে। সৌদি আরবের জেদ্দায় বৃহস্পতিবার ওআইসি শ্রম মন্ত্রীদের সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শ্রম, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক সুরক্ষা সহযোগিতার জন্য ওআইসি ফ্রেমওয়ার্কের কার্যকারীতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
কর্মক্ষেত্রে পেশাগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব বাড়াতে হবে, শ্রম এবং পেশাগত প্রশিক্ষণ পর্যবেক্ষকের জন্য ‘দক্ষতা ব্যাংক’, আইনি সুরক্ষা এবং শ্রম বাজার আইন, সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষা জোরদারে দাবি জানান বক্তারা। জেদ্দায় ‘মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য একটি সাধারণ কৌশল প্রণয়ন’ বিষয়ে ওআইসি শ্রম মন্ত্রীদের চতুর্থ ইসলামি সম্মেলন এটি।
এবারের সম্মেলনে সৌদি আরব চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। সম্মেলনে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ এবং জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বোরহান উদ্দিন যোগ দেন।
নুরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী নানা অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসাধারণ এবং স্থিতিশীল ম্যাক্রো-অর্থনৈতিক সূচক ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত করবে।
বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য দক্ষ জনবলের ব্যবহারে বাংলাদেশ একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিশ্বব্যাপী বাজারের শর্তাবলী এবং প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবকে মেনে চলার জন্য সুশৃঙ্খল, নিরাপদ এবং অভিবাসন প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে। বর্তমানে প্রায় ১১ মিলিয়ন বাংলাদেশি ১৬৫টি দেশে বসবাস করছেন। তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি ওইসব দেশগুলোতে অবদান রাখছে।
সম্মেলনের পাশাপাশি মন্ত্রী সৌদি আরবের শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ড. আলি বিন নাসের আল গাফির সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকদের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন এবং দক্ষ শ্রমিক নিয়োগে সহায়তা কামনা করেন।
এর আগে শ্রম মন্ত্রীদের চতুর্থ ইসলামি সম্মেলনের জন্য সিনিয়র অফিসারদের প্রস্তুতিমূলক বৈঠকের উদ্বোধনী অধিবেশন গতকাল শুরু হয়। অনুষ্ঠানে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক জুলহাস আহমেদ এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান ড. নজরুল ইসলামসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআরএম/আইআই
