ইতালিতে বাংলাদেশি কিশোরীর অ্যাওয়ার্ড লাভ

জমির হোসেন
জমির হোসেন জমির হোসেন , ইতালি প্রতিনিধি ইতালি থেকে
প্রকাশিত: ০৫:৪৯ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮

ইতালিয়ান শট ফিল্ম ‘সিকরেট অব হামিদা’য় অভিনয় করে অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশি কিশোরী ইকরা ইসলাম। রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ইউরো এশিয়া ফিল্ম ফেস্টিভাল-২০১৭-তে কয়েকটি ছবি প্রদর্শিত হয়। গত বছরের জুলাইয়ে প্রদর্শিত ছবিগুলোর মধ্যে বিচারকদের বিবেচনায় ‘সিকরেট অব হামিদা’ শর্ট ফিল্ম ব্যতিক্রমী সিনেমা হিসেবে অ্যাওয়ার্ড লাভ করে। এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য বাংলাদেশি কিশোরী ইকরাকে সেরা অভিনেত্রীর অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। গত বছরের জুলাই মাসে রাশিয়ায় ফ্লিম ফেস্টিভালের পরিচালক খ্রিস্টিয়ান মানটিসের হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেয়া হয়। সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে ইকরা। ইতালি ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি নিয়ে সিনেমার মূল কাহিনি।

ইকরা একজন বাংলাদেশি। তার বাবা-মা ইতালিতে থাকেন। সে ইতালিয়ান একটি স্কুলে পড়ে। সে সাধারণত বাংলাদেশের পোশাকে স্কুলে আসা যাওয়া করত। তার এই ড্রেসআপ দেখে তার ক্লাসমেটরা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করত। এরপর তার মন খারাপ হয়ে যায়। বাসায় এসে একা কান্নাকাটি করত। একটা সময় তার বন্ধুদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে সে তার মায়ের হেজাপ চুরি করে দর্জির দোকানে নিয়ে যায়। পরে দর্জি ওয়ালা মেপে দেখে তার ওই পোশাক তৈরি করতে কাপড় যতেষ্ট নয়। সে তখন দর্জিকে বলে এই কাপড় দিয়েই আমাকে তৈরি করে দেন পোশাক, যতই ছোট হোক। এভাবেই ছবির কাহিনি সামনের দিকে যেতে থাকে।

ছোটকাল থেকে ইতালিয়ান সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠে ইকরা। ইতালিতে বড় হলেও বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি বুকে লালন করে সবসময়। তাই সে স্থানীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে নৃত্য, গান পরিবেশন করে বাংলাদেশিদের মনে স্থান করে নেন।

জীবনের প্রথম ধাপে অ্যাওয়ার্ড পাওয়া নিয়ে আবেগে আপ্লুত হয় ইকরা। এই খুশিতে অনুভূতি প্রকাশ করে সে বলে, এরকম একটি অর্জন একার পক্ষে সম্ভার হয়নি। এই অর্জনের ব্যাপারে সে তার গৃহিনী মা শাহিনা মান্নানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। বলে, তার মা সবসময় সহযোগিতা করেছে।

অভিনয় দিয়ে প্রথম অর্জন আসলেও ভবিষ্যতে সে একজন মনস্তাত্ত্বিক হতে লেখাপড়া করছে। ইকরা বলছিল, একজন বাংলাদেশি হিসেবে দেশকে উপস্থাপন করতে পেরেছি। সেজন্য আমি গর্ববোধ করছি অ্যাওয়ার্ড অর্জনের মাধ্যমে। সে বড় হয়ে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চায়। নিজের মাতৃভূমিকে বিশ্বের কাছে ভালো কাজের মাধ্যমে তুলে ধরতে চায়। এজন্য সে সবার কাছে দোয়া চেয়েছে।

জেডএ/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]