মালয়েশিয়ায় দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশি অবৈধ কর্মীরা

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মালয়েশিয়া থেকে
প্রকাশিত: ০৩:২৭ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭

অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার নিবন্ধনের সময় শেষ হচ্ছে আগামীকাল রোববার (৩১ ডিসেম্বর)। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে সে দেশের সরকার ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কিছু শর্ত দিয়ে রিহায়ারিং প্রোগ্রাম শুরু করে। এ সময়ের মধ্যে যারা রিহায়ারিং প্রোগ্রামে নিবন্ধন করে বৈধ না হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।

সূত্র জানায়, আগামী সোমবার (১ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে বড় ধরনের সাঁড়াশি অভিযান শুরু করবে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ। অবৈধভাবে বসবাসকারীরা সরকারের এ সুযোগ গ্রহণ না করে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে দেশটির অভিবাসন আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় পড়তে হবে তাদের। মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩-এর ধারা ৫৫-বি-এর অধীন সর্বোচ্চ ৫০ হাজার হাজার রিঙ্গিত জরিমানা বা ১২ মাসের জেল অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে।

malaysia

এদিকে শেষ সময়ে শনি ও রোববার সরকারি ছুটি থাকায় নিবন্ধন করতে না পেরে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অনেকে। আর সময় বাড়ানো হবে কি-না নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। তবে নিবন্ধন শেষ হওয়ার পর পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে তাদের ভিসাসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সুযোগ দিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।

সর্বশেষ তথ্যমতে, চলমান রি-হায়ারিংয়ের আওতায় প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ অবৈধ বাংলাদেশি নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে এক লাখ ৬৫ হাজার কর্মী ভিসা পেয়েছেন।

একটি সূত্রে জানা গেছে, নাম ও বয়স জটিলতার কারণে কমপক্ষে ৫৫ হাজার কর্মী ভিসা পাননি। তারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। তবে তাদের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে, ওই সব কর্মী জটিলতা নিরসনের সুযোগ পাবেন নাকি দেশে ফিরতে হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে নিবন্ধিত প্রায় তিন লাখ ৩০ হাজার শ্রমিকের ভিসাসহ বৈধতার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

malaysia

এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম মুকুল বলেন, নিবন্ধনের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। যারা নিবন্ধন করেছেন তারা বৈধ হতে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আরও ছয় মাস সময় পাবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে কাউন্সিলর বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি প্রতারণার শিকার হয়ে থাকেন তাহলে তাকে অবশ্যই সঠিক তথ্যসহ দূতাবাসের শ্রমশাখায় অভিযোগ করতে হবে। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

বিএ/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]