সৌদিতে আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাঙালিদের ভিড়

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৩ এএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

সৌদি আরবের বাণিজ্যিক নগরী জেদ্দায় আয়োজিত তৃতীয় আন্তর্জাতিক বইমেলায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ছয়টি সরকারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। এ মেলায় বাঙালিদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে।

সম্প্রতি বইমেলায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, নজরুল ইনন্সিটিটিউট, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ও চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর।

মক্কার আমির প্রিন্স খালেদ আল ফয়সাল মেলার উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি সদ্য প্রয়াত সৌদি আরবের বিশিষ্ট কবি খালাফের স্মরণে সম্মননা প্রদান করেন। ৪২টি দেশের ৫০০ এর অধিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণ করেছে। মেলায় বাংলাদেশের স্টলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ করা গেছে। স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের বিভিন্ন ভ্রমণ কাহিনী, শিশু কিশোরদের পত্রিকা, বাংলাদেশের প্রকৃতি ও পরিচিতমূলক বই খুঁজতে দেখা গেছে।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, তারা মেলায় এসে একুশে বইমেলার আমেজ খুঁজে পাচ্ছেন। তারা ভবিষ্যতে মেলায় আরও বড় পরিসরে সরকারি বেসরকারি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

saudi

মেলায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, সৌদি আরবের বিশাল বাংলাদেশি কমুউনিটির পাশাপাশি বিদেশিদের কাছে মেলার মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি। প্রবাসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে এই মেলা ভূমিকা রাখবে। এছাড়া মেলার মাধ্যমে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সংস্কৃতির মেলবন্ধন গড়ে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এই প্রথম জেদ্দা আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, মেলার মাধ্যমে সৌদি আরবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি বিদেশিদের কাছে দেশের সংস্কৃতির পরিচয় ঘটাতে সক্ষম হবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাস এর উদ্যোগে ও জেদ্দাস্থ কনস্যুলেট জেনারেলের সার্বিক সহযোগিতায় বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।

মেলায় চীন, জাপান, তুর্কমেনিস্তান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। মেলায় নিয়মিত চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। দশ দিনব্যাপী এই মেলা শেষ হবে রোববার।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]