৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে আমিরাতে আনন্দ উৎসব

মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন
মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন , আমিরাত প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:৪১ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কো কর্তৃক 'বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য' হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে আনন্দ উৎসব করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) শারজাহ র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলের বল রুমে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল (দুবাই ও উত্তর আমিরাত) এবং প্রবাসী কমিউনিটির উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। স্বাগত বক্তব্য দেন কনস্যুলেট জেনারেল (দুবাই ও উত্তর আমিরাত) এস বদিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির বাণী পড়ে শোনান কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ড. এ কে এম রফিক আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনান লেবার কনস্যুলার এ এস এম জাকির হোসেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষে বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী আবু জাফর চৌধুরী, ডা. সৈয়দ নূর মোহাম্মদ, আইয়ূব আলী বাবুল, নূর মোহাম্মদ, অধ্যাপক আব্দুস সবুর, ক্যাপ্টেন সৈয়দ আবু আহাদ, বাবু রাখাল কুমার গোপ, প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন, প্রকৌশলী এস এ মোর্শেদ, নারীনেত্রী কাওছার নাজ প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ৪৬ বছর পরে হলেও বিশ্ববিবেক আমাদের ইতিহাসকে বিশ্ব ঐতিহ্য করে নিয়েছে। এ আনন্দ প্রতিটি বাঙালির। এ জন্য ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ। সেই সঙ্গে ইউনেস্কোর কাছে এটি তুলে ধরতে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করেছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

পরে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মোহাম্মদ নাজমুল হক ও মুমতাজ আইয়ূবের সঞ্চালনায় এতে গান পরিবেশন করেন ইয়াছমিন কালাম, রেহানা রহমান, মিতা সাহা, অনিন্দিতা খান সুমি, ড. এ কে এম রফিক আহমেদ, জাবেদ আহমদ মাসুম, জসিম উদ্দিন পলাশ, শ্যামল বিশ্বাস, কাইছার হামিদ ও বঙ্গ শিমুল।

এ ছাড়া নাচ পরিবেশন করেন ফারাহ শামস্, হুমায়রা বিনতে জাহিদ, সুমায়রা বিনতে জাহিদ, পারিসা চৌধুরী। নির্মলেন্দু গুণের কবিতা পাঠ করেন আরটিভির প্রতিনিধি মাহাবুব হাসান হৃদয় এবং ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে নিজের লেখা ছড়া পাঠ করেন ছড়াকার লুৎফুর রহমান।

এমএমজেড/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]