জমকালো আয়োজনে ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড প্রদান

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:২৫ এএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৭

ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড মানেই জমকালো, দৃষ্টিনন্দন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা আর আভিজাত্যের ছোঁয়া। বরাবরের মতো এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত সোমবার লন্ডনের বাটারসি ইভ্যুলুশন হলে অনুষ্ঠিত হয় এবারের ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের ১৩তম আসর।

এবারের আয়োজনে ১২টি ক্যাটাগরিতে নমিনেশন পায় মোট ১০৫টি রেস্টুরেন্ট। সেখান থেকে ১২জন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন আগত অতিথিরা।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কারি অ্যাওয়ার্ডের প্রতিষ্ঠাতা এনাম আলী তার শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্বাগত জানান আগত অতিথিদের। সেই সাথে রন্ধন শিল্পের ঐতিহ্য ও সংগ্রামকে সামনে এগিয়ে নিতে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান। ভিসা প্রসেসিং সেন্টার ঢাকা থেকে দিল্লী স্থানান্তরিত হওয়ায় ভ্রমণ ও ওয়ার্কিং ভিসা সরবরাহে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে সেটি উল্লেখ করেন এনাম আলী।

এছাড়া পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে একের পর এক রেস্টুরেন্ট বন্ধ হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ দিকে মূল অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা পাঠান বর্তমান ও সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ও ডেভিড ক্যামেরুন। বৃটেনের অর্থনীতিতে কারি শিল্পের ভূমিকা ও অবদানের কথা উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য করেন এবং অভিনন্দন জানান বিজয়ীদের।

ব্রিটেনের মূল ধারার রাজনীতিবিদ, খেলোয়াড়, ব্যবসায়ী ও টিভি ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লন্ডস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কমিউনিটির বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ ও সাংস্কৃতিক জগতের তারকারা। এবারের অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে লন্ডনে বাঙালি কমিউনিটির নতুন টিভি চ্যানেল আই অন টিভি ইউকে।

মূল অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন বৃটেনের অন্যতম জনপ্রিয় উপস্থাপক রাগিহ ওমর। ১২টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিতরণের পাশাপাশি ছিল মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে হাজারো দর্শকদের জন্য মঞ্চে শাহ আবদুল করিমের গান নিয়ে হাজির হন সাঈদা তানি। অন্যতম এ আকর্ষণ মুগ্ধ করে হলভর্তি দর্শকদের।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে ফেডারেশন অব বাংলাদেশি ক্যাটারার্স এবং এশিয়ান ক্যাটারিং ফেডারেশন এ অ্যাওয়ার্ডের আয়োজক। ব্রিটেনের পাঁচ শতাধিক রেস্টুরেন্ট থেকে সেরা প্রতিভাবানদের নির্বাচিত করেন বিচারকবৃন্দ।

এআরএস/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]