হাসপাতাল ছেড়ে তারেক রহমানের বাসায় খালেদা জিয়া

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৬ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
ফাইল ছবি

লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিনের চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। চিকিৎসকদের পরামর্শে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) লন্ডনের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৩টা) খালেদা জিয়াকে ছেলে তারেক রহমান তার বাসায় নিয়ে যান। তার বাসায় থেকে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিকিৎসা নেবেন খালেদা জিয়া।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ক্লিনিকের সামনে সংবাদকর্মীদের ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপনের বিষয়ে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। তার বয়স ও স্বাস্থ্যের ওপর বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বর্তমানে ওষুধের মাধ্যমে যে চিকিৎসাপদ্ধতি চলছে সে ব্যাপারে লন্ডন ক্লিনিক ও যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা একমত হয়েছেন।

লন্ডনের কিংস কলেজের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে দেখে গেছেন বলে জানান জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, চিকিৎসকরা দুটি পরীক্ষা দিয়েছেন। পরীক্ষার ফল এলে শুক্রবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় চলে যেতে পারেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, তারেক রহমানের বাসায় থেকে তিনি (খালেদা জিয়া) প্রফেসর প্যাট্রিক কেনেডি ও জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিকিৎসা নেবেন।

৭৯ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ জানুয়ারি তিনি লন্ডন যান। ওইদিন স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাকে সেখানকার বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতাল ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিক’ এ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

কেএইচ/এমআইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।