নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির জন্য নির্বাচন হবে: জোনায়েদ সাকি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১১ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০২৫
গণসংলাপে বক্তব্য রাখছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির নির্বাচন। সংবিধানসহ মৌলিক কাঠামোগত পরিবর্তন সম্পূর্ণ ও চূড়ান্ত করতে হলে নির্বাচন লাগবে বলে মনে করেন তিনি। আগামী সংসদে কী কী মৌলিক পরিবর্তন হবে সেগুলো নিয়ে আরও আলোচনা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন সাকি।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে ‘নতুন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ শীর্ষক গণসংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ এই সংলাপের আয়োজন করে।

আরও পড়ুন

জোনায়েদ সাকি বলেন, আগামী নির্বাচন হবে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরির নির্বাচন। কাজেই সেই নির্বাচন জন-ঐক্যের সংস্কারের নির্বাচন হতে হবে। সেরকম সংস্কার সভা তৈরির জন্য আমাদের সবাইকে জন-ঐক্য তৈরি করতে হবে। আমরা দেশের জনগণকে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাই।

তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধাদের অবিলম্বে চিকিৎসা নিশ্চিত করা ছাড়াও সরকারকে শহিদ পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে এবং শহিদ ব্যাক্তিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে হবে। একই সঙ্গে বলব মানুষ দ্রব্যমূল্যে নাকাল। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নানাভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অবনতি হচ্ছে। কেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারছে না, সেই জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করতে হবে।

জোনায়েদ সাকির মতে, ১৯৭১ সালে পূর্ব প্রজন্ম যে স্বপ্ন দেখেছিল, সে স্বপ্ন প্রতিষ্ঠা করেছে তরুণরা। তিনি বলেন, আজকে একাত্তরের স্বপ্নের ধারাবাহিকতায় তরুণরা চব্বিশের বাস্তবায়ন করেছে। ২০২৪ সালকে হাজির করা হচ্ছে ৭১ সালের বিপরীতে। ৭১ সালে রক্ত দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। ২৪ সালে ৭১ কে পুন:প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৭১ এর ধারাবাহিকতায়ই বাংলাদেশ চলবে।

আরএএস/এএমএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।