জামায়াতের আমির

ইসলামি দলগুলোর মাথার ওপরে কেউ যেন কাঁঠাল ভেঙে খেতে না পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:২৭ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
বক্তব্য রাখছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান/ছবি-মাহবুব আলম

জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমান বলেছেন, আর যেন ইসলামি দলগুলোর মাথার ওপর কেউ কাঁঠাল ভেঙে খেতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খেলাফত মজলিসের সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ছাত্রদের আমি স্যালুট জানাতে চাই। আগামীর বাংলাদেশ তাদের হাতে তুলে দিয়ে আমরা পেছন থেকে সহযোগিতা করতে চাই। আর যেন ইসলামিক দলগুলোর মাথার ওপরে কেউ কাঁঠাল ভেঙে খেতে না পারে। আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

জামায়াতের আমির বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে সাড়ে ২৬ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ জাতীয় নেতাদের অপমান করেছে, লাঞ্ছিত করেছে, কষ্ট দিয়েছে। সব থেকে আক্রোশ মিটিয়েছে ওলামা একরামদের ওপর।

তিনি বলেন, দেশের মানুষকে অপমানিত করা হয়েছে। হাজার হাজার ওলামায়ে একরামকে মিথ্যা মামলায় জেলে দিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। কুরআনের হাফেজদের নির্বিচার গুলিকে হত্যা করা হয়েছে। শাপলা চত্বরের ঘটনা দেশবাসী কখনো ভোলেনি এবং ভুলবে না। এটাকে নিয়ে কত উপহাস করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মতো দায়িত্বের চেয়ারে বসে সেখানে তিনি বলেছেন সেখানে রক্ত নয় রং ছড়ানো হয়েছিল।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার দুই মাসের মাথায় ৫৭ জন চৌকস সেনাবাহিনীর অফিসারকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে তাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এরপর তারা জামায়াত ইসলামকে বেছে নিয়েছে। আমাদের ১১ জনকে তারা হত্যা করেছে। এভাবে আলেম-ওলামাকে এত বেশি লাঞ্ছিত করা হলো এর শেষ নাই। আওয়ামী লীগ এদেশের হাজার-কোটি মানুষকে কষ্ট দিয়েছে, জুলুম করেছে। একজন ভিক্ষুকের ওপরও জুলুম করেছে।

তিনি বলেন, বিপ্লবের পরে ইসলামিক দলগুলো পাহারাদারের কাজ করেছে। দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত মসজিদ যদি পাহারা দেওয়া না লাগে মন্দিরেও যেন পাহারা না দিতে হয়। সবাই যে যার ধর্ম পালন করবে। আমরা ইসলামের দাওয়াত দিয়ে যাব।

এনএস/এমআরএম/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।