লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া নির্বাচন দিয়ে লাভ নেই: ফয়জুল করীম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৮ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে টেকসই সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে সে নির্বাচনে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না হলে  নির্বাচন দিয়ে কোনো লাভ হবে না। মানুষ সঠিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না। এমন অবস্থায় নির্বাচন হলে কাঙ্ক্ষিত প্রার্থীকে ভোট দেওয়া যাবে না। কালো টাকার ছড়াছড়ি ও পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধ হবে না।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সেগুনবাগিচার ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, সংখ্যানুপাতিক হারে (পিআর পদ্ধতির) নির্বাচন হলে তাতে পেশিশক্তির ব্যবহার হবে না। কালোটাকার ছড়াছড়ি হবে না। বরং জাতীয় এক সরকার হবে, যে সরকার ফ্যাসিস্ট হবে না।

তিনি বলেন, যারা সমাজকে সাজাতে চান তারা নিজেরা নিজেদের জীবনকে সুন্দরভাবে সাজাতে পারিনি। যুগে যুগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেও অফিস-আদালতে এখনো বৈষম্য দূর হয়নি। ৫ আগস্টের পরে বৈষম্য দূর হয়নি, বরং ফ্যাসিস্টের পরিবর্তে নতুন আরেক দলের অবৈধ ক্ষমতার দাম্ভিকতায় বৈষম্য চলছে। অন্যের জমির ধান কেটে নিয়ে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় তারা পার পেয়ে যেতে চায়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, দেশকে ধ্বংস করার জন্য চক্রান্তের অংশ হিসেবে সচিবালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সচিবালয়ের আগুন পরিকল্পিত। এ আগুন যেনতেন নয়, পরিকল্পিতভাবেই লাগানো হয়েছে। বিগত সময়ের সব অপকর্মের রেকর্ড জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেন অপকর্মের কোনো রেকর্ড না থাকে। এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের পরিচয় জাতির সামনে তুলে ধরে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রের ফলে মানুষের জীবনযাত্রার মান খারাপের দিকে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে নিত্যপণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। মানুষের জীবনযাত্রার অবস্থা খুবই খারাপ। এর কারণ হচ্ছে, চোর, ডাকাত ও দুর্নীতিবাজদের মাধ্যমে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা যায় না। সন্ত্রাসীর মাধ্যমে সন্ত্রাস বন্ধ করা যায় না।

এরপর তিনি ২০২৫ সালের জন্য ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর পূর্ব ও দক্ষিণ শাখার কমিটি ঘোষণা করেন। ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সভাপতি হিসেবে মাঈনুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আবু সুফিয়ান নোমানের নাম ঘোষণা করা হয়। এছাড়া মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি হিসেবে আরিয়ান ইমন, সহ-সভাপতি নেয়ামাতুল্লাহ বিন হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এইচ এম জোবায়ের হোসাইনের নাম ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ আবদুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ মুনতাসির আহমদ ও সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

এএএম/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।