‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১১:১১ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামে কৃষকদলের সমাবেশ/ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন বলেছেন, বিগত ১৭ বছরে দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। কৃষকের মুখে হাসি ছিল না। গত ১৭ বছরে আটবার সারের দাম বাড়ানো হয়েছিল। বিশেষ করে ইউরিয়া সারের চারগুণ মূল্যবৃদ্ধি এবং বিগত সরকারের ভ্রান্তনীতির কারণে কৃষিপেশা এখন অলাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে।

কৃষকদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজির দেউড়ি নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কে আনন্দর‍্যালির আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। র‍্যালিটি নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে লাভলেন, জুবিলি রোড, তিনপুলের মাথা হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলমগীরে সভাপতিত্বে ও বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ এরশাদ উল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন কৃষকদলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাসান পলাশ।

কৃষিবিদ তুহিন বলেন, জনগণের ভোটে বিএনপি যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কৃষকের মুখে হাসি থাকবে। আমরা কৃষকের মুখে হাসি ফোটাবো। কৃষিকে আধুনিক কৃষিতে পরিণত করবো। আমরা কৃষকদের নিয়ে সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা আধুনিক কৃষিনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শপথ হবে দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে, সাধারণ মানুষ ও কৃষকের পক্ষে থাকবো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা চলে গেলেও বিপদ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আবারও গণতন্ত্র ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে। নতুন করে বিপদ আসার আশঙ্কা আছে। বিএনপির বিরুদ্ধে সবসময় ষড়যন্ত্র হয়। গণতন্ত্রবিরোধীরা আবারও মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা যেন সফল হতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা সবাই মিলে একটি অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি করেছি। আশা করবো, তারা অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দেবেন। নির্বাচিত সরকারই শ্রেষ্ঠ সরকার। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের দরজা, সে দরজা পার হয়েই গণতন্ত্রের পথে যেতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ এরশাদ উল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছর গোটা জাতিকে নির্যাতন করেছে। গণতন্ত্রের মতো দেশের রাজনীতি, অর্থনীতিও ধ্বংস করেছে। ব্যাংক ধ্বংস করেছে। সব জায়গায় দুর্নীতি করেছে। তারা আবারও গণতন্ত্র ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সামনে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। কারণ এই সরকার ফেল করলে, অভ্যুত্থান ফেল করে যাবে, বিপ্লব ফেল করে যাবে, আমরা আবারও সেই অন্ধকারে চলে যাবো। এ বিষয়গুলো নিয়ে সবার পজিটিভ চিন্তা করা প্রয়োজন।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষকদলের বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রশিদ দৌলতী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মহসিন চৌধুরী রানা, উত্তর জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক বদিউল আলম বদরুল, মহানগর কৃষকদলের সদস্য সচিব সাবের আহমেদ টারজেন, দক্ষিণ জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মীর জাকির হোসেন ও উত্তর জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব নাজিম উদ্দিন শাহিন।

এমডিআইএইচ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।