আওয়ামী লীগকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলার যৌক্তিকতা নেই: মঈন খান
আওয়ামী লীগকে পলায়নকারী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে অভিহিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগের নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি দাবি করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
তিনি বলেন, সেদিন (১৯৭১ সালে) আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গিয়েছিলেন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে, নিরাপদ আশ্রয়ে জীবন বাঁচানোর জন্য। গত ৫ আগস্ট সেই দলের শীর্ষ নেতা একাত্তরের কাপুরুষের মতই পালিয়ে গিয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) মিরপুর শাহ আলী মাজার এলাকায় আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস অর্থাৎ সিপাহী-জনতার মাধ্যমে দ্বিতীয়বার যার উদয় হয়েছিল সেই ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন জিয়াউর রহমান। প্রথমবার পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। কই, যারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দাবি করেন, সেই আওয়ামী লীগ (নেতারা) সেদিন কোথায় ছিলেন?
- আরও পড়ুন
- দোসররা আওয়ামী লীগকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে: জাতীয় নাগরিক কমিটি
- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কী করবে, জানালেন তারেক রহমান
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর, নব্বইয়ের আন্দোলন এবং চব্বিশের জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান একই সূত্রে গাঁথা । সূত্রটি হলো গণতন্ত্র। দেশের মানুষ ভোট দিতে চেয়েছিল। ১৯৭১ সালেও দেশের মানুষ ভোটের জন্য লড়াই করেছে। এটি কি দেশের মানুষের অপরাধ? এটি কোনো অপরাধ হতে পারে না। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য।
১৬ বছর ধরে দেশের মানুষকে বাকশালী আওয়ামী লীগের ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছিল মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, সেটি একদিনেই শেষ হয়েছে। জুলাই-অগাস্টে সেই ট্যাবলেট কোনো কাজে লাগেনি। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা সেই ইতিহাস ফেলে দিয়ে সত্যিকারের ইতিহাস প্রতিষ্ঠা করেছে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, বিএনপি নেত্রী হেলেন জেরিন, এস এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
কেএইচ/কেএসআর/এএসএম