যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, আশা ফখরুলের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৩১ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০২৪

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গত তিন মাসে অনেক কাজ করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা যদি তাদের সহযোগিতা করি তাহলে তারা উপযুক্ত ও যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন আয়োজন করবে।

৭ নভেম্বর বিপ্লব সংহতি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শেরে-বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস পূর্ণ হয়েছে, তারা কি কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অবশ্যই তারা অনেক কাজ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি উপযুক্ত সময়ে তারা নির্বাচন দিতে সক্ষম হলে এই জাতির সামনে যে চ্যালেঞ্জ আছে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

ফখরুল বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশপ্রেমিক সৈনিক-জনতা দ্বিতীয়বারের মতো আধিপত্যবাদ ও তাদের দোসরদের পরাজাতি করে নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে।

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, আশা ফখরুলের

তিনি বলেন, ৭ নভেম্বরের পরে রাজনীতি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রাজনীতি। সেই রাজনীতি ছিল গণতন্ত্রের শত্রুদের পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালে সিপাহি জনতার বিপ্লবের পর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের অবস্থা পরিবর্তন করলেন।

সেই সময় জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে বহদলীয় গণতন্ত্রে নিয়ে আসেন। তিনি রুদ্ধ বাজার অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে রূপান্তর করেন। তিনি বাংলাদেশে নতুন অর্থনীতির সম্ভাবনা সৃষ্টি করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতীয়তাবাদী দল ও জাতীয়তাবাদ দর্শন সৃষ্টি করেন। এই দর্শনে দীর্ঘকাল দলটি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই ও সংগ্রাম করছে।

ফ্যাসিবাদ সরকারের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদ সরকার বিএনপিকে নানাভাবে নির্যাতন করেছে। এই আওয়ামী লীগ প্রায় ৬০ লাখের মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। ৭০০ মানুষকে গুম করে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো এই দেশে আধিপত্যবাদ পরাজিত করা হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়াপারসন উপদেষ্ঠা আমান উল্লাহ আমান, দলটির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।