খালেদার দুই মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ৭ জানুয়ারি
ঢাকা আলিয়ার মাঠে বিশেষ আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসনের মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ আগামী ৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বিচারক আবু আহমেদ জমাদ্দার নতুন এই তারিখ নির্ধারণ করেন।
নতুন তারিখ নির্ধারণের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আইন শৃঙ্খলাবাহিনী হয়রানির কারনে তারা যথাসময়ে আদলতে উপস্থিত হতে পারেননি। বর্তমানে হাইকোর্ট বন্ধ রয়েছে তাই তারা মামলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেননি।
যথাযতভাবে এই মামলার চার্য গঠন হয়নি দাবি করে এসময় ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, ঢাকা আলিয়ার মাঠে নতুন কোর্ট দেয়ায় এটাই প্রমাণিত হয় এখানে ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে না। তারপরও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আমরা আজকে আদালত মুলতবির আবেদন করেছি।
আমাদের আবেদন বিবেচনা করে বিচারক মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন বলে জানান রফিকুল ইসলাম মিয়া।
এদিকে দুদকের আইনজীবি মোশারফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদেরকে জানান, এতিমের অর্থ আত্মসাত মামলার চার্যশিট হয়েছে অনেক আগেই। আজ মামলার বাদী আদালতেই ছিলেন। তারপরও খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তারিখ পরিবর্তন করলে কোর্টকে সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দেন। তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বিচারক ৭ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
তিনি বলেন, পরবর্তী সব তারিখে খালেদা জিয়াকে হাজির হতে হবে। হাজির হতে না পারলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২ টায় আদালতে পৌছান খালেদা জিয়া। মামলার তারিখ পরিবর্তন হওয়ার পর ১ টা ১৫ মিনিটে তিনি আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। তৃতীয়বারের মতো ঢাকা আলিয়ার বিশেষ আদালতে হাজির হয়েছেন বেগম জিয়া।
এদিকে সকাল থেকেই বখশীবাজার এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও পুরো এলাকা ঘেরাও করে রাখে। দুপুর সোয়া ১২ টায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুই দলের প্রায় পঞ্চাশজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।