রাষ্ট্রপতির অপসারণ ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতে ইসলামের
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। একই সঙ্গে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এসব দাবি জানান হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান। সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের প্রাপ্তি রাষ্ট্রীয় ভাষণে দেশবাসীর সামনে স্বীকার করেছেন। অথচ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তা অস্বীকার করে তিনি স্ববিরোধিতা এবং একই সঙ্গে শপথ ভঙ্গ করেছেন। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিশ্বস্ত এই রাষ্ট্রপতিকে জুলাই বিপ্লবের শত্রু মনে করি এবং তার দ্রুত অপসারণ দাবি করছি। জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে যারাই গাদ্দারি করবে, তারাই গণশত্রু হিসেবে প্রত্যাখ্যাত হবে।
আরও পড়ুন
- রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ ৫ দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
- যিনি পালিয়ে গেছেন তার পদত্যাগ করা না করায় কী আসে যায়
হেফাজত নেতারা বিবৃতিতে বলেন, ফ্যাসিস্টদের বানানো জাতীয় দিবস ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট বাতিল করায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। রক্তাক্ত জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করা হয়েছিল।
তারা আরও বলেন, বিডিআর হত্যা, ৫ মে শাপলা ও ২০২১ এবং ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগসহ তার অঙ্গ সংঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের এখনো নিষিদ্ধ না করায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদ একের পর এক প্রতিবিপ্লবের ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাচ্ছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে আরও সংহত করে সফল করতে হলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো বিকল্প নেই।
এএজেড/কেএসআর/এমএস