আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পায় না জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান
গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় আমরা মজলুম ছিলাম বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পায় না। কারও ছোটখাটো বিষয় বড় করে দেখা যাবে না। ঘুমানোর আগে অপরকে ক্ষমা করে দিয়ে ঘুমাতে হবে। বিদ্বেষমুক্ত অন্তরের অধিকারী হতে হবে।’
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত সদস্য (রুকন) সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘কাউকে সন্তুষ্ট করতে কোনো কিছু করা যাবে না, যা কিছু করতে হবে সব হবে আল্লাহর জন্য। মুমিনের সব কাজ হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। জামায়াতের সব সদস্যকে বিচক্ষণতার অধিকারী হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বেশি বেশি আত্ম সমালোচনা করতে হবে। ইনসাফ অত্যন্ত কঠিন একটি বিষয়। জীবনের সব ক্ষেত্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানুষকে দ্বিনের জন্য উৎসাহিত করতে হবে। আমরা দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর মজলুম ছিলাম।’
- আরও পড়ুন
- জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার আওয়ামী লীগের আইনেই করতে হবে
- গুলি চালানো ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা কেন গ্রেফতার হচ্ছেন না
রুকন সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমির আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী। কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শাহজাহান। এতে দারসুল কোরআন পেশ করেন বাইতুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ ও ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি প্রফেসর ড. মাওলানা সাইয়েদ আবু নোমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ফ্যাসিবাদ ও জুলুমের ধারা থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে। আর কোনো ফ্যাসিবাদকে এই জমিনে মাথাচাড়া দিতে দেওয়া হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আমাদের দিকে চেয়ে রয়েছে। গত ১৮ বছরে দুর্নীতি-লুটপাট করে, ভূমি দখল থেকে শুরু করে নৈরাজ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশকে যে সংকটের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, সেই অবস্থান থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য জামায়াতে ইসলামীকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে যে টাকা পাচার হয়েছে, শুধু দুটা পরিবার থেকে যে টাকা পাচার হয়েছে তা ফিরিয়ে আনতে পারলে ৩ বছরের বাজেট হয়ে যাবে।
এমডিআইএইচ/কেএসআর/জিকেএস