সবজি বাজারের সিন্ডিকেট এখনো বহাল কীভাবে, প্রশ্ন ইসলামী আন্দোলনের
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের অবসান হলেও নিত্যপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেটের অবসান হয়নি। এখনো সবজির বাজারের সিন্ডিকেট বহাল থাকে কীভাবে, তা অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে খতিয়ে দেখতে হবে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ভাটারায় নগর উত্তর কার্যালয়ে তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর অকার্যকর ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ দেখতে চায় না দেশবাসী। পাইকারি বাজারে সবজির ব্যাপক সরবরাহ থাকলেও খুচরা বাজারে ১০০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যায় না। সবজি কিনতেই নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের নাভিশ্বাস হচ্ছে। অন্যকিছু কিনবে কীভাবে?
‘রাস্তাঘাটে চাঁদা দেওয়ার কারণে সবজির দাম বেশি এই অজুহাত দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। আমরা মনে করি, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য চিহ্নিত একটি গোষ্ঠী নিত্যপণ্যের বাজারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে, দেশকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
তিনি আরও বলেন, থানা নেতৃত্বকে যুগ-চাহিদার আলোকে গড়ে উঠতে হবে। নিজেকে যোগ্য, দক্ষ ও চৌকস হতে হবে। ইসলামকে সহজাভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরার যোগ্যতা থাকতে হবে। সব ধরনের বিপদ-আপদ ও যে কোনো কঠিন পরিস্থিতিতেও সীসাঢালা প্রাচীরের মতো মজবুত থাকার যোগ্যতা থাকতে হবে।
সম্মেলনে সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যানের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার হোসেন, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, এম হাসমত আলী, প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন পরশ, প্রকৌশলী মুরাদ হোসেন, চিকিৎসক মুজিবুর রহমান, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুফতী সিরাজুল ইসলাম, মো. রাকিবুল ইসলাম, মুফতি নিজাম উদ্দিন, মুহাম্মদ নাজমুল হাসান প্রমুখ।
এএএম/এসএএইচ