সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব চায় জামায়াত
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা চালু করা ও ইভিএম ভোটিং সিস্টেম বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সেই সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ২০০৮ সালে প্রবর্তিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথা বাতিলেরও দাবি জানিয়েছে দলটি।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে হোটেল ওয়েস্টিনে নিজেদের ‘রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা’ উপস্থাপন করে এ দাবি জানায় দলটি। এদিন জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে তার পক্ষ থেকে সংস্কার প্রস্তাবনা তুলে ধরেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। এরপর সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নের জবাব দেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে সংস্কার প্রস্তাবনা তুলে ধরেন দলটির নায়েবে আমির
এসময় নির্বাচন কমিশন সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে স্থায়ীভাবে সন্নিবেশিত করতে হবে। নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন দেশে প্রত্যাখ্যাত ইভিএম ভোটিং ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।
- আরও পড়ুন
- ১০ খাতে রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব জামায়াতের
- সরকারি চাকরির বয়স দুই বছর ৩৫, স্থায়ীভাবে ৩৩ করার দাবি
তিনি বলেন, ‘কোনো সরকারি চাকরিজীবী চাকরি ছাড়ার কমপক্ষে তিন বছরের মধ্যে কোনো ধরনের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করতে হবে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ২০০৮ সালে প্রবর্তিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথা বাতিল করতে হবে।’
- আরও পড়ুন
- চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে
- চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা নিয়ে সিদ্ধান্ত ৭ কার্যদিবসের মধ্যে
ডা. তাহের আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা ও প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে সার্চ কমিটি গঠিত হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন একাধিক দিনে অনুষ্ঠিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর ব্যবস্থাপনা নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনতে হবে।
এএএম/এসএইচএস/জেআইএম