জানা গেলো ঢাবি শিবিরের সেক্রেটারির পরিচয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:১১ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এস এম ফরহাদ/ ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতির নাম প্রকাশ্যে আসার পর আলোচনায় আসে সেক্রেটারি নিয়ে। যদিও ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাবি শাখা সেক্রেটারির নাম ঘোষণা করা হয়নি।

তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরের ফেসবুক পোস্টে এ বিষয়ে জানানো হয়। একই সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির বিশ্বস্ত সূত্র জাগো নিউজকে জানায়, সংগঠনটির ঢাবি শাখা সেক্রেটারির নাম এস এম ফরহাদ। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েমও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এস এম ফরহাদ। রাঙ্গামাটির ছেলে ফরহাদ ওই জেলার মাইনী গাথাছড়া বায়তুশ শরফ মাদরাসা থেকে দাখিল পাস করেন। এরপর চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ মাদরাসা থেকে আলিম পাস করেন তিনি।

এস এম ফরহাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির নেতা ছিলেন। জসীমউদ্দীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন, পাশাপাশি জসীমউদ্দীন হল ডিবেটিং ক্লাবের দায়িত্বেও ছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদ এবং হিল সোসাইটির নেতা ছিলেন ফরহাদ।

jagonews24.com

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় এক ফেসবুক পোস্টে ছাত্র আন্দোলনে নয় দফার ঘোষক, সমম্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের শুরুতেই নাহিদ ভাই আমাকে ডেকে নিয়ে এক লোকের সঙ্গে মিট করায়। এবং পরবর্তী সময়ে আন্দোলনের পারপাসে একাধিকবার সে লোকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। পরবর্তী সময়ে জানতে পারি তিনি ঢাবি শিবিরের ছাত্রআন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। কিন্ত তখনো শিবিরের সভাপতি এবং সেক্রেটারির সঙ্গে যোগাযোগ হয় নাই।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার যাত্রাবাড়ী এলাকায় যখন আন্দোলন করছিলাম তখন শিবিরের ঢাবি সেক্রেটারি ফরহাদ ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বললো, ‘আন্দোলনরত কয়েকজন সমন্বয়ক সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। এত এত শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতেছে তারা। আন্দোলন শেষ হয়ে যাবে। কিছু দাবি-দাওয়া দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে, মানুষের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না।’ আমি সম্মতি জানাই। আমাদের আগেই অবস্থান ছিল আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার।

এএএম/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।