শ্রমিক আন্দোলন

আ’লীগ নেতা কচির ইন্ধন আছে কি না খতিয়ে দেখার আহ্বান জামায়াতের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৯ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চলমান শ্রমিক আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেতা এস এম মান্নান কচি ও তার নিয়োগ করা বিজিএমইএ বোর্ড কোনো ইন্ধন দিচ্ছে কি না- তা খতিয়ে দেখতে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের পাঠানো বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গাজীপুর ও ঢাকার আশুলিয়ায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের মুখে পোশাকশিল্পে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। এসব এলাকার পোশাকশিল্পের শ্রমিকরা তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ ও বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। প্রায় অর্ধশত কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আরও অর্ধশত কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শিল্প খাতে অস্থিরতা কোনোভাবেই দেশের অর্থনীতি ও সংশ্লিষ্ট কারও জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না জানিয়ে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশসহ আমাদের প্রতিযোগী সব দেশ এ সুযোগে আমাদের পোশাকখাত ধ্বংস করার সুযোগ পাবে এবং পাঁয়তারা চালাবে। ফলশ্রুতিতে আমাদের বাজার দখল করা তাদের জন্য খুবই সহজ হবে এবং এ থেকে তারাই লাভবান হবে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের অন্যসব প্রতিষ্ঠানের মতো বেসরকারি এই বৃহৎ শিল্পখাতকেও দলীয় থাবা থেকে বাঁচতে দেয়নি আওয়ামী লীগ সরকার। ফলে গত ১৬ বছর বিজিএমইএ-তে আওয়ামী নেতাদের পুনর্বাসন ও লুটপাটের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হয়েছে। বিজিএমইএ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ও মালিক-শ্রমিকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি ও নিজেদের ঠিকাদারি সুবিধা পেতে ব্যস্ত ছিল। সর্বশেষ বিজিএমইএর সভাপতির পদ দখল করে নিয়েছেন ঢাকা মহানগরী উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। তার নিজের কোনো পোশাক কারখানা নেই বলে শোনা যায়। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার বিপ্লবী আন্দোলনে মিরপুর ও উত্তরায় ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যা ও দমনে তার সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, একই সঙ্গে পোশাক খাতে কর্মরত সব শ্রমিক সংগঠনের প্রতি অনুরোধ জানাই, যেসব দুষ্কৃতকারী গোষ্ঠী বা মহল শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের নাম ব্যবহার করে দেশ ও শিল্পখাত অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করুন।

তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশের শিল্প বাঁচলে আমরা বাঁচবো এবং দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকবে। তাই আসুন আমরা সবাই মিলে যার যার অবস্থান থেকে পোশাকশ্রমিকদের কর্মসংস্থান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাই।

এএএম/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।