ঐক্য সুসংহত করতে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪৯ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা দেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে গড়ে ওঠা ঐক্য সুসংহত করতে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যসহ আরও দুটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পর্যায়ক্রমে এসব বৈঠক হয়।

প্রথম বৈঠকটি হয় গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে; যার নেতৃত্ব দেন জোটের সমন্বয়ক হারুন আল রশিদ খান। এরপর মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ এবং সর্বশেষে ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট-এনডিএমের সঙ্গে বৈঠক হয়।

এ তিনটি বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর গণফোরাম, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি ও ন্যাপ-ভাসানীর সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি।

বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আজকে আমরা যাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি তারা আমাদের আন্দোলনের সাথী, আমাদের সবার অনেক সেক্রিফাইস আছে, আমরা জেলে গিয়েছি, আমরা নির্যাতিত হয়েছি সবাই। আমরা সেই সস্পর্কের ধারা অব্যাহত রেখেছি।

তিনি বলেন, দেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হওয়ার পর আমরা আবার নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছি। এই আলোচনার মধ্যে বাংলাদেশের যে স্বপ্ন তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। শেখ হাসিনা পলায়ন করার পর থেকে বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে যে নতুন ভাবনা, যে নতুন আকাঙ্ক্ষা, যে নতুন প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে আমরা যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো আগামীর নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে কী করবো, তা নিয়ে আলোচনা করেছি।

আমীর খসরু আরও বলেন, যেহেতু এখন একটা অন্তর্বর্তী সরকার আছে তার প্রতি জনগণের আস্থা আছে, আমাদেরও আস্থা ও সমর্থন আছে। আমরা আশাবাদী যে, এই সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে সমর্থ হবে। তাদের সার্বিক সহযোগিতা দেবো। রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে কথা হয়েছে। ৩১ দফা সবাই মিলে করেছি। বাস্তবায়নও একসঙ্গে করবো। জাতীয় সরকার বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করবো। মৌলিক সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের প্রত্যাশা করি।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য মানুষ আন্দোলন করেছে। দেশ চলবে জনগণের কথায়।

মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করবো। আগামী নিবাচনের পর কী সংস্কার করতে চাই তা ৩১ দফায় আছে। জাতীয় সরকারের মাধ্যমে এসব বাস্তবায়ন করতে চাই।

হারুন আল রশিদ খান বলেন, প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ হবে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দেওয়া। জাতীয় ঐক্যকে ধরে রেখে জাতীয় সরকার হতে হবে।

ববি হাজ্জাজ বলেন, আগে সরকার পতনের বৈঠক ছিল, এবার আন্দোলনের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছানোর বৈঠক। নতুন গণতন্ত্র মানুষের হাতে তুলে দিতে হবে। ৩১ দফার মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কার রয়েছে। সবাই মিলে ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করবো। নতুন সংস্কারের দরকার হলেও একসঙ্গে কাজ করবো। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।

কেএইচ/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।