পদত্যাগী নির্বাচন কমিশনের বিচার চাইলেন ফয়জুল করিম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৭ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করা এ নির্বাচন কমিশনের বিচার চাইলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম।

তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি অবৈধ নির্বাচনের হোতা নুরুল হুদা কমিশনের বিচার করতে না পারলেও তার কবরে ঝাড়ু ঝুলিয়ে বিচার করা হবে।’

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘আগামীর বাংলাদেশ- যুব সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ।

গণতন্ত্রের বিষয়ে শেখ হাসিনা যত কথা বলেছেন তার চেয়ে ভালো কথা তেমন কেউ বলেননি উল্লেখ করে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, ‘এখানে মূল কথা হচ্ছে নীতি ও আদর্শ। সুপ্রিম কোর্টের সম্পূর্ণ বেঞ্চ সরকার পরিবর্তনের পরে পদত্যাগ করাকে আপনি কী ভাববেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ দায়িত্বশীলরা পদত্যাগ করাকে কী বলা যাবে। অতীতের বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপিকে যদি ক্ষমতায় আনা হয় তবে আর নতুন বাংলাদেশ কেমন করে হবে? ৫ আগস্টের পরে যে চাঁদাবাজ, দখলদারত্ব চালিয়েছে তাদেরকে ক্ষমতায় আনলে কী হবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের সর্বত্র দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের ভাষ্য অনুযায়ী এমন অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা আর হয়নি। গরিব দেশের ডিসি, এসপির পেছনে যে অর্থ ব্যায় হয়, তাতে তারা মনে করে দেশ গরিব নেই। আমাদের মূল লক্ষ্য থেকে দূরে সরে গেছি। বাজেটের বড় অর্থ যায় রাষ্ট্রের কর্মচারীদের বেতন ভাতার পেছনে। বাজেটের অর্থ জনগণের কল্যাণে কম অর্থ ব্যয় হয়। আদর্শ ও নীতি অনুযায়ী আমরা চললে বাংলাদেশ হবে শ্রেষ্ঠ দেশ।’

দেশে মেধাবীদের মর্যাদা দেওয়া হয় না মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, ‘ক্যামব্রিজ ও অক্সফোর্ডে বাংলাদেশের ছেলেরা ভালো রেজাল্ট করে। এখনও মিথ্যা মামলা, চাঁদাবাজি, জুলুম অত্যাচার হোক তা আমি চাই না। আওয়ামী লীগ করার কারণে নিরপরাধ কারও নামে মিথ্যা মামলা হোক তা চাই না। সাধারণ জনগণের চেয়ে সরকারি কর্মচারীরা কোনোভাবে অতিরিক্ত কিছু পেতে পারবেন না।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মো. নেছার উদ্দীন। সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমদ সাকীর পরিচালনায় গোলটেবিল বৈঠকে আরও আলোচনা করেন- মালয়েশিয়া প্রবাসী রাজনৈতিক বিশ্লষক ড. ফায়জুল হক, অর্থনীতি গবেষক আবদুল্লাহ মাসুদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাহ ইফতেখার আহসান তারেক, বিকল্প যুব ধারা সভাপতি আসাদুজ্জামান বাচ্চু, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শামসুদ্দোহা আশরাফী, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাইমেন ফারুকী প্রমুখ।

এএএম/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।