শেখ হাসিনার বান্ধবীরা এখনো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে: ফারুক
এখনো সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বান্ধবীরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে বসে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে ‘অন্তর্বর্তী সরকার এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের ষড়যন্ত্র শীর্ষক’ প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবু সাঈদের রক্তের গন্ধ এখনো শুকায়নি এর মধ্যেই এই অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাদের অশান্তিতে রাখার আলামত আমরা দেখতে পাচ্ছি। ড. ইউনূস সরকারকে এখনো রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চক্রান্ত চলছে। এখনো শেখ হাসিনার বান্ধবীরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে বসে আছেন। এখনো গুলি করার লোক মেহেদী বিএনপি অফিস ভাঙার নায়ক, হারুন বিপ্লবরা কোথায়? এই মহানগরে এখনো অনেক অসৎ পুলিশ কর্মকর্তা বহাল তবিয়তে। আমি বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ জানাবো এদের যদি আইনের আওতায় না নিয়ে আসেন মানুষ হতাশ হবে। মানুষ কষ্ট পাবে।
সাবেক এই বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, ৪০ লাখ মামলা কাঁধে নিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ১৬ বছর খুনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে লড়াই করেছে। যার কারণে অনেক মায়ের বুক খালি হয়েছে ইলিয়াস আলী চিরতরে বিদায় নিয়েছে কি না জানি না। চৌধুরী আলমের মরদেহ এখনো আমরা পাইনি হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছে শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে আমরা দেখতে পাচ্ছি কেউ কেউ যেন একটা কিছু ঘটানোর ষড়যন্ত্র করছে। যারা রাজনীতি করেন গত দিনে মাঠে ছিলেন যাদের নেতাদের শেখ হাসিনা ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছে আমাদের নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে ছিলেন আজকে আবার যখন ড. ইউনূস রাজনীতির সুযোগ করে দিলেন, রাজনীতি করার সুযোগ করে দিলেন ছাত্র জনতা যে ছাত্র জনতার রক্তে রঞ্জিত এখনো দেশ। যাদের নির্দেশে শত শত নিরীহ ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সেই খুনের নির্দেশদাতা শেখ হাসিনাকে কেন কীভাবে ক্ষমা করা হয় রাজনৈতিকভাবে আমি বুঝে উঠতে পারছি না।
শেখ হাসিনার ক্ষমা নেই মন্তব্য করে ফারুক বলেন, খুনি হাসিনার ক্ষমা নাই। খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে বিচার করতে হবে। বাংলাদেশে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা শেখ হাসিনার নির্দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুলি চালিয়েছে তাদের মধ্যে যারা এখনো বহাল তবিয়তে আছে কার কাছে আছে জানি না তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে ছাত্র সমাজের যারা আত্মহুতি দিয়েছে শান্তি পাবে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন আমি চুরি করে প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না। আমি মৃত ব্যক্তির ভোটে প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না। আমি বাংলাদেশে একমাথা এক ভোটে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে যেতে চাই।
সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা, ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসান, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, মাইনুউদ্দীন মজুমদার, আমির হোসেন বাদশা উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এমআরএম/জেআইএম